Dilip Ghosh

শুভেন্দুর দলবদল নিয়ে চুপই দিলীপ

ড়্গপুর গ্রামীণের ওই কর্মসূচির আগে এ দিন সকালে চা-চর্চায় রেলশহরে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। রেলের এলাকায় তিনি বিধায়ক ও সাংসদ থাকাকালীন যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে দাবি করে শহরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের সমালোচনা করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০১:৩৫
Share:

খড়্গপুর শহরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর চর্চা চলছে। তিনি বিজেপিতে শুভেন্দু যোগ দেবেন কি না তা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে। যদিও বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, শুভেন্দুর তাঁদের দলে যোগদান নিয়ে কোনও খবর তাঁর কাছে নেই।সোমবার খড়্গপুর গ্রামীণের বড়কোলায় বিজয়া সম্মিলনী ও ‘শুনুন কৃষক ভাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনা বিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন তিনি। রাজ্য জুড়ে হিংসা চলছে, আইএএস-আইপিএসরা তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন— এমন নানা অভিযোগে রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের সমর্থনে নানা কথা শোনা যায় দিলীপের মুখে। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চের নীচে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, “উনি একটি রাজনৈতিক দলে রয়েছেন। তিনি সেই দলের নেতা-মন্ত্রী। সেখানে যদি কোনও সমস্যা থাকে সেটা তাঁর দলের বিষয়।” শুভেন্দু কি বিজেপিতে আসছেন? দলের রাজ্য সভাপতির জবাব, “আমার কাছে কোনও খবর নেই। উনিও কিছু আমাকে বলেননি।”

Advertisement

খড়্গপুর গ্রামীণের ওই কর্মসূচির আগে এ দিন সকালে চা-চর্চায় রেলশহরে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। রেলের এলাকায় তিনি বিধায়ক ও সাংসদ থাকাকালীন যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে দাবি করে শহরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের সমালোচনা করেন তিনি। প্রদীপ সরকারকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, “এখানকার বিধায়ক পাঁচ বছর পুরপ্রধান ছিলেন। একটা ফুটপাতও পারেননি। টাকা কামানোর জন্য পার্ক তৈরি করেছেন। আমি এখানে বিধায়ক থাকাকালীন তহবিলের টাকা খরচ করতে দেওয়া হয়নি। আমি সাংসদ হওয়ার পরে কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে রেলের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করাচ্ছি। রেলের এলাকায় উড়ালপুল, রাস্তা-সহ অনেক কাজ হচ্ছে।” অভিযোগ নস্যাৎ করে রেলশহরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “শহরে কী কাজ হয়েছে সেটা মানুষ জানেন বলেই উপ-নির্বাচনে আমাদের জিতিয়েছেন। রেলের বাজারে এখনও বিদ্যুৎ নেই, রেলের বাসস্ট্যান্ড, গোলবাজার নরককুণ্ড হয়ে রয়েছে। উনি (দিলীপ) মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। ক্ষমতা থাকলে টাকা কামানোর জন্যই একটি পার্ক করে উনি দেখান।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement