গরহাজির সুপার, ক্ষোভ শুভেন্দুর

প্রথমেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে খোঁজ নেন এ দিন কতজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপরেই হাজির হন ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে। সেখানে বসেই খোঁজ নেন হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার আছেন কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৮
Share:

তমলুক জেলা হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

তিনি রাজ্যের শাসক দলের দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি পদেও রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে তমলুক নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে গাঁধীজীর ১৫০ তম জন্মদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ সটান হাজির হন জেলা সদর হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু রায়। হাসপাতাল ঘুরে কিছু বিষয়ে নিজের ক্ষোভও জানালেন।

Advertisement

প্রথমেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে খোঁজ নেন এ দিন কতজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপরেই হাজির হন ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে। সেখানে বসেই খোঁজ নেন হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার আছেন কি না। হাসপাতালের এক কর্মী জানান, আজ হাসপাতালের অফিস বন্ধ, সুপার আসেননি। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘হাসপাতালের আবার অফিস বন্ধ হয় নাকি। এটা কি সিএমওএইচ (মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক) অফিস! সুপারের নাম বলুন।’’ হাসপাতালের ওই কর্মীর কাছে সুপার, ডেপুটি সুপারের নাম জানার পরেই কাগজে নাম লিখে নেন মন্ত্রী। পরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চিকিৎসা ঠিকমত হচ্ছে কিনা খোঁজ নেন। হাসপাতালের আইশোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে ভবনের চারপাশে আগাছার জঙ্গল দেখে দ্রুত তা পরিষ্কারের নির্দেশ দেন। হাসপাতালের রান্নাঘরে গিয়ে চাল ও ভাত পরীক্ষা করে। একটি ওয়ার্ডে রোগীদের খাবার দেওয়ার কর্মীদের কাছে জানতে চান রোগীদের কত ওজনের মাছ দেওয়া হয়। কখন খাবার দেওয়া হয়। এক কর্মীর কাছে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে খাবার দেওয়া হয় জেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সাড়ে ১২টার সময় খাবার দেওয়া শুরু করলে সব রোগীদের খাবার দিতে তো ২টো বেজে যাবে। আরও আগে রোগীদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’’

তহে হাসপাতাস পরিদর্শনের সময় সুপারের গরহাজিরায় মন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে হাসপাতালে শোরগোল পড়ে। সুপার গোপাল দাসের অবশ্য দাবি, ‘‘বাবার মৃত্যুর বাৎসরিক কাজের জন্য সোম এবং মঙ্গলবার ছুটিতে ছিলাম। আজ মন্ত্রী যখন হাসপাতালে আসেন তখন বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসছিলাম। মন্ত্রী পরিদর্শনে এসেছেন বলে পরে জানতে পেরেছি। তবে এদিনই হাসপাতালে কাজে যোগ দিই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন