Suvendu Adhikari

শুভেন্দু-সিন্টু সাক্ষাৎ, পাশে নেই ‘ঘনিষ্ঠ’রা

‘দাদা’ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছেন পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি এবং পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র

‘দাদা’ দল বদলে বিজেপি’তে। সেই ‘দাদা’র সঙ্গে দেখা করছেন পাঁশকুড়ার এক সময়ের বিরোধী নেতারা। কিন্তু ওই এলাকার একদা ‘দাদা’র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না ‘দাদা’র অনুগামী হতে।

Advertisement

‘দাদা’ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছেন পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি এবং পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী দিনে পাঁশকুড়া এলাকায় বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে ওই দুই নেতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন শুভেন্দু। খুব শীঘ্রই তিনি পাঁশকুড়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলে দাবি বিজেপি’র। বিজেপি’র রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক তথা পাঁশকুড়া পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলর সিন্টু বলছেন, ‘‘পাঁশকুড়া এলাকার সমস্ত বিজেপি নেতা, কর্মীরা শুভেন্দুদাকে চাইছেন। এই বার্তা নিয়ে আমি ওঁর সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি পাঁশকুড়ায় আসার সম্মতি জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই তিনি এখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে।’’

এক সময়ের বিরোধী নেতারা যখন শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করছেন, তখন পাঁশকুড়ায় শুভেন্দুর তৃণমূলে থাকালীন অনুগামীরা কার্যত চুপচাপই রয়েছেন। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন, ২০১২ এবং ২০১৭ সালের পাঁশকুড়া পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের কারিগর ছিলেন শুভেন্দু। ২০১৭ সালে সদ্য নিযুক্ত আনিসুর রহমানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে নন্দ মিশ্রকে পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান পদে বসানোর পিছনেও ভূমিকা ছিল শুভেন্দুর। পাঁশকুড়া ব্লক ও শহর এলাকায় তৃণমূলের যাবতীয় কর্মসূচি পালিত হত কাঁথির অধিকারী পরিবারের নির্দেশে। ওই এলাকায় শুভেন্দুর অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না।

Advertisement

কিন্তু দলবদলের পরে তৃণমূলের কোনও নেতাকে এখনও প্রকাশ্যে শুভেন্দুর হয়ে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে‌ তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়ার উপপুরপ্রধান সইদুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ার অনেকেই একদা শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। উনি দল বদল করায় পাঁশকুড়ার কোনও তৃণমূল নেতা ওঁর পাশে নেই। উনি পাঁশকুড়াতে বিজেপির কর্মসূচিতে এলেও ওঁর পাশে একদা ঘনিষ্ঠ কেউই থাকবেন না। আমরা সকলে তৃণমূলে এককাট্টা হয়েছি।’’

এ নিয়ে সিন্টুর কটাক্ষ, ‘‘পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতারা আসলে সুবিধাভোগী। ওঁরা এখন জল মাপছেন। সুযোগ বুঝে বিজেপিতে আসবেন। তবে তৃণমূলকে ছাড়াই পাঁশকুড়ায় বিজেপি যে জিততে পারে তা ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement