নেতাইয়েও দিল্লির ডাক 

বললেন, ‘‘আজকের এই মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলতে চাই না।’’ তারপর বললেন প্রায় ১৪ মিনিট। যার অধিকাংশই জুড়ে রইল রাজনীতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩০
Share:

নেতাইয়ে শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

কয়েক মুহূর্তের জন্য ‘শহিদবেদি’ জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, ‘‘আজকের এই মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলতে চাই না।’’ তারপর বললেন প্রায় ১৪ মিনিট। যার অধিকাংশই জুড়ে রইল রাজনীতি।

Advertisement

সোমবার নেতাইয়ের মঞ্চ থেকে কী কী বললেন, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী? বললেন, ‘‘আপনারা পরিবর্তন এনেছেন একজনকেই দেখে। তাঁর নাম হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য কোথায় কে কী করলেন, ছোটখাটো সে সব দিকে আপনাদের লক্ষ্য রাখার দরকার নেই।’’ বললেন, ‘‘আর কয়েক মাস পরে লোকসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে জননেত্রী যে দেশনেত্রী হিসেবে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন, তাতে সকলের সহযোগিতা সমর্থন প্রয়োজন।’’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের শিবির থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। নিহত হন মোট ৯ গ্রামবাসী। আহত হন ২৯ জন। এ দিন অষ্টম বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রথমে ‘শহিদবেদি’তে মালা দেন শুভেন্দু। তারপর জড়িয়ে ধরেন ‘শহিদবেদি’।

Advertisement

এ দিন সিপিএম এবং বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। বার্তা দিয়েছেন ঐক্যবদ্ধ থাকার। মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি বলব, আমাদের এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগে উন্নয়নের ক্ষেত্র কী ছিল আজ উন্নয়নের ক্ষেত্র কী হয়েছে সেটা দেখতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠন করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। পাঁচ মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এত উন্নয়নের কাজ করেছেন আপনারা যাঁরা প্রবীণ আছেন, তাঁরা বাম জমানায় বা তারও আগে এমন কাজ দেখেননি।’’ শুভেন্দু জানিয়ে দেন, দলনেত্রী জঙ্গলহলের নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে চান, সেই কারণে লালগড় ব্লক সভাপতি হয়েছেন শ্যামল মাহাতো। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়, বিধায়ক তথা জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদার অভিভাবকত্বে তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন ছেলেরা কাজ করবে বলেও জানান শুভেন্দু। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নেতাই-কাণ্ডের নিহতদের পরিজন ও আহতদের হাতে চাদর তুলে দেন তিনি।

নেতাইয়ের পর লালগড়ের এসআই চকে তৃণমূলের নতুন দলীয় ব্লক কার্যালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন করে শুভেন্দু জানান, দলীয় কার্যালয়ের দরজা মানুষের সেবা-সহযোগিতার কাজে সবসময় খোলা থাকবে। স্থানীয় নেতাদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘দরজা বন্ধ করে আলোচনা হবে না। প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এখানে বিধায়ক-সাংসদদের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকবে। দলীয় কার্যালয়টি পরিবেষা দানের কার্যালয় হবে।’’ লালগড়বাসীর জন্য দলীয় কার্যালয়ে এসি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন