কাজের খতিয়ান পেশ শুভেন্দুর

তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। আবার হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও। কিন্তু তমলুক লোকসভার সাংসদ হিসেবে নিজের উন্নয়ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে গত ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে যে সমস্ত উন্নয়ন কাজের হিসেব তুলে ধরলেন তার সিংহভাগ জুড়ে রাইল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০০:৩৪
Share:

উন্নয়নী সভায় শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। আবার হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও। কিন্তু তমলুক লোকসভার সাংসদ হিসেবে নিজের উন্নয়ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে গত ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে যে সমস্ত উন্নয়ন কাজের হিসেব তুলে ধরলেন তার সিংহভাগ জুড়ে রাইল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাজ।

Advertisement

শনিবার বিকেলে তমলুক শহরের সুবর্ণ জয়ন্তী হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘উন্নয়নের খতিয়ান’ নামে ওই বই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শুভেন্দুবাবু। প্রকাশিত পুস্তিকায় তথ্য অনুযায়ী সাংসদ হিসেবে এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ অর্থের মধ্যে গত ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ৭৮ হাজার টাকার প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছেন। আর একই আর্থিক বছরে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তমলুক ও হলদিয়া মহকুমায় বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে প্রায় ১৭০ কোটি টাকার কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন। ফলে সাংসদ হিসেবে পুস্তিকায় যেসব উন্নয়ন কাজের হিসেবে দিয়েছেন তাঁর অধিকাংশ জুড়ে রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে তমলুক পুরসভা এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে মোট ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। একইভাবে মহিষাদল ব্লকের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে যেখানে ৩৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে সেখানে ওই বছরে মহিষাদল ব্লকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৩৭ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার অনুমোদন পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

বিবরণ অনুযায়ী ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকে হলদিয়া পুরসভা এলাকায় উন্নয়নের জন্য ৩৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা, হলদিয়া ব্লক এলাকার জন্য ১২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের জন্য ৪২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের জন্য ৩২ কোটি ১ লক্ষ টাকার কাজের অনুমোদন পেয়েছে। ফলে উন্নয়নের খতিয়ানের তালিকায় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাজের প্রাধান্য রয়েছে।

শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমি তমলুকের সাংসদের পাশাপাশি এইচডিএর চেয়ারম্যান। তাই কাজের খতিয়ানে সেই হিসেব রয়েছে।’’ পাশাপাশি তাঁর সাফাই, ‘‘সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে অনেক কাজে উদ্যোগী হয়েছি। সার্বিকভাবে সেই কাজ হওয়ায় আমার কাজের খতিয়ানে তার উল্লেখ নেই।’’

এ দিন উন্নয়নের খতিয়ানের পুস্তিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ও নন্দীগ্রামে রেলের যে প্রকল্প নিয়েছিলেন তার কাজ অসমাপ্ত থাকার জন্য কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘হলদিয়া ওয়াগন তৈরির কারখানার কাজের জন্য যে কাজ এগিয়েছে তাতে আর ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করলে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যেত। বর্তমান কেন্দ্র সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরনের জন্য এই প্রকল্পগুলির কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে না।’’

সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাজারের কাছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অর্থ বরাদ্দে আলোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দুবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন