রাস্তা দখল রুখতে অভিযানের সিদ্ধান্ত পুরসভার

শহরের বিভিন্ন রাস্তার দু’ধার দখল করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা ও মেশিনভ্যান চলাচল বন্ধ করতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তমলুক পুরসভা। এছাড়াও রাস্তার একাংশ দখল করে ব্যবসায়ীদের দোকানের জিনিসপত্র রাখার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৪৯
Share:

শহরের বিভিন্ন রাস্তার দু’ধার দখল করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা ও মেশিনভ্যান চলাচল বন্ধ করতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তমলুক পুরসভা। এছাড়াও রাস্তার একাংশ দখল করে ব্যবসায়ীদের দোকানের জিনিসপত্র রাখার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভা ও পুলিশের তরফে যৌথভাবে এই অভিযান চালানোর জন্য সম্প্রতি তমলুক পুরসভা কর্তৃপক্ষ ও তমলুক থানার পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে যানজটের সমস্যা বাড়ছে। পুরসভা ও পুলিশের তরফে যৌথভাবে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সদর হিসেবে তমলুক শহরে আগের চেয়ে দ্রুত জনবসতি বেড়েছে অনেক। সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যাও। কিন্তু হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক ও পুরনো পাঁশকুড়া থেকে তমলুক শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া হলদিয়াগামী সড়ক চওড়া হয়নি। উল্টে শহরের বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারের ফাঁকা জায়গা ক্রমশ বেআইনিভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তমলুক শহরের মধ্যে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের মানিকতলা মোড়, শঙ্করআড়া, হাসপাতাল মোড়, নিমতলা মোড় হয়ে নারায়ণপুর পর্যন্ত এলাকায় সড়কের দু’পাশে একাংশ করে দখল করে প্রায়ই লরি, ট্যাক্সি ও ছোটগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা থাকে। এছাড়াও ওই সড়কের ধারে বালি, স্টোন চিপস, মাটি সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাই করে রেখে দেয় অনেকে । ফলে ওই সড়কে রাস্তার ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার মত জায়গা থাকে না। ২০০২ সালে একবার রাস্তার দু’পাশের বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ না হওয়ায় ফের ওই রাস্তার দু’ধারের অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে গিয়েছে। একই ছবি তমলুক শহরের মানিকতলা মোড় থেকে জেলখানা মোড়, পুরসভা অফিস, স্টিমারঘাট, বড়বাজার এবং হাসপাতাল মোড়েরও।

পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘রাস্তার একাংশ দখল করে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা বন্ধ করতে অভিযান শুরু করা হবে। শহরে মেশিনভ্যান চলাচল বন্ধ করতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।’’

Advertisement

পুরসভার এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত কতখানি কার্যকর হয় তা দেখার অপেক্ষায় শহরবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন