নজরে মেদিনীপুর

কার্ডের অভাবে রেশনের জটে রেলশহর

বৈঠক হল। তবে রেলশহরে রেশন জট কাটার সমাধান সূত্র বেরলো না। গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় অনেক কম ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছে খড়্গপুরে। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে কার্ড বিলি বন্ধ রেখেছিল পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৭
Share:

বৈঠক হল। তবে রেলশহরে রেশন জট কাটার সমাধান সূত্র বেরলো না।

Advertisement

গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় অনেক কম ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছে খড়্গপুরে। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে কার্ড বিলি বন্ধ রেখেছিল পুরসভা। সোমবারের বৈঠকে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার জানান, পুরসভা এই কার্ড বিলি করতে পারবে না। পড়ে থাকা কার্ড খাদ্য দফতরের কাছে পাঠাবে। খাদ্য দফতর জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্ড বিলি করে দেওয়া হবে। কিন্তু যাঁরা কার্ড পাবেন না, তাঁরা কী ভাবে রেশন সামগ্রী পাবেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি এ দিনও।

আজ, মঙ্গলবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করার কথা প্রদীপবাবুর। তিনি বলেন, “খাদ্যমন্ত্রীকে শহরের সমস্যার কথা জানাব। মন্ত্রী নিশ্চয় ব্যবস্থা করবেন।”

Advertisement

২৮ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ডিজিটাল কার্ড বিলি করতে হবে বলে আগে জানিয়েছিল খাদ্য দফতর। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। এরপর আর নতুন কার্ড ছাড়া গ্রাহকেরা রেশনের সামগ্রী পাবেন না। ডিজিটাল কার্ড তৈরি শুরু হয়েছিল আগেই। তবে কার্ড তৈরিতে বহু গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ। বহু গরিব মানুষের নামেই কার্ড হয়নি। রেলশহরে রেশন গ্রাহকের সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ। অথচ, কেন্দ্র এবং রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা আইনে ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছে এক লক্ষের কিছু বেশি।

এই কার্ড বিলির প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল পুরসভার। কিন্তু বেশিরভাগ গ্রাহক কার্ড না পেলে শহরে ক্ষোভ ছড়াবে, এই আশঙ্কায় নতুন কার্ড বিলি বন্ধ করে দেয় পুরসভা। প্রদীপবাবু বলেন, “শহরে আসা রেশন কার্ডের সংখ্যা খুবই কম। বাধ্য হয়ে পুরসভা কার্ড বিলি বন্ধ রাখে।”

এ দিকে, আগামী মাস থেকে নতুন কার্ড ছাড়া রেশন সামগ্রী মিলবে না। সমস্যা মেটাতে তাই সোমবার বিকেলে খড়্গপুর পুরসভায় বৈঠকে বসেন পুর-কর্তৃপক্ষ এবং খাদ্য দফতরের কর্তারা। সেখানে কার্ড বিলির দায় থেকে পুরসভা মুক্তি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু সমস্যা মেটেনি। যাঁদের নামে কার্ড আসেনি, তাঁরা কী ভাবে রেশন সামগ্রী পাবেন? পুরসভার এক সূত্রে খবর, বৈঠকে খাদ্য দফতরের কর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে এ নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। যাঁরা কার্ড পাননি, তাঁদের ফের ফর্ম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই ফর্ম খতিয়ে দেখে ফের ডিজিটাল কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।

কিন্তু যত দিন সেই কার্ড হাতে না আসছে, ততদিন কি গ্রাহকেরা পুরনো কার্ডে রেশন পাবেন? জবাব কিন্তু পুরসভা বা খাদ্য দফতর কারও কাছে নেই। সমস্যা সমাধানে গোটা শহর আপাতত পুরপ্রধান ও খাদ্যমন্ত্রীর বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement