Death

অস্বাভাবিক মৃত্যু! রামনগরে ফিরলে যুবকের কফিনবন্দি দেহ

মৃতের পরিবারের দাবি, গত ১ জানুয়ারি বিনয়ের জন্মদিন ছিল। সে দিন বন্ধুদের সঙ্গে কেক কেটে দিনটি উদ্‌যাপনও করেছিলেন বিনয়। এর পর পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয় তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রামনগর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪০
Share:

শনিবার যুবকের দেহ সৎকার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

আমেরিকা থেকে অনেক দিন বাদে শনিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল যুবকের। কিন্তু ফিরল তাঁর কফিনবন্দি দেহ! পরিবার সূত্রে খবর, আমেরিকায় নিজের হস্টেলের ঘরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বিনয়কুমার জানা (২৬) নামে ওই যুবকের। সেই ঘটনার ১৯ দিন পর শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাড়িতে দেহ ফিরিয়ে আনা হয়। শনিবার যুবকের দেহ সৎকার করা হয়েছে।

Advertisement

মৃতের পরিবারের দাবি, গত ১ জানুয়ারি বিনয়ের জন্মদিন ছিল। সে দিন বন্ধুদের সঙ্গে কেক কেটে দিনটি উদ্‌যাপনও করেছিলেন বিনয়। এর পর পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয় তাঁদের। পরিবার সূত্রে খবর, ৬ জানুয়ারি ভারতীয় সময় রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ আমেরিকা থেকে বিনয়ের পরিবারকে ফোন করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে জানায়। পরিবারের তরফে এই বিষয়ে তদন্তের দাবিও জানানো হয়। সেই ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর দেহ হাতে পেল পরিবার।

বিনয়ের বাবা অমলকুমার জানা বলেন, ‘‘ছেলে এমবিএ করতে প্রায় বছর দেড়েক আগে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে বাড়ি ফেরার জন্য টিকিটও করে নিয়েছিল। ২৭ জানুয়ারি তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ঠিক তার আগের দিনই ফিরল ছেলের কফিনবন্দি দেহ। ছেলে বাড়ি ফিরলে তাঁর বিয়ে দেওয়া হবে স্থির হয়েছিল। এক জনের সঙ্গে সম্বন্ধও হয়েছিল। ছেলে বাড়ি ফিরলে তাঁকে নিয়ে সপরিবার সিমলা ঘুরতে যাওয়ার কথাও ছিল। সব প্রস্তুতি পাকা হয়ে গেলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে ছেলে অকালে চলে গেল।’’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘পরিবারে দুই মেয়ের পর একটি মাত্র ছেলে ছিল। গত ৬ জানুয়ারি ছেলের মৃত্যুর খবর আসার পর গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। তবে আমরা দেহটিকে দ্রুত বাড়ি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম। ছেলেকে শেষবার দেখতে চেয়েছিলাম আমরা। ছেলের দেহ ফেরত আনতে চেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মাধ্যমে সাংসদ শিশির অধিকারীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সেখান থেকেই বিদেশমন্ত্রীর দফতর-সহ অন্যান্য জায়গায় ইমেল মারফত যোগাযোগ করা হয়। এর পরেই আমেরিকার একটি এনজিও-সহ বিদেশ দফতরের উদ্যোগে ছেলের মৃত্যুর ১৯ দিন পর তাঁর দেহ আমরা ফিরে পেয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন