Hilsa

মরসুমের প্রথম ইলিশ, সাতসকালেই বিক্রি শেষ

মরসুমের শুরুতেই মৎস্যজীবীদের জালে  ইলিশের আমদানি লকডাউনের সুফল বলে  মৎস্যজীবীদের একাংশের মত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৪:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মরসুমের শুরুতেই এ বার দেখা মিলল ইলিশের।

Advertisement

বুধবার সাতসকালেই ইলিশ কিনতে ভিড় জমে যায় কাঁথি সুপার মার্কেটে। এ দিন সকালে কাঁথি শহরের মিষ্টি মাছের বাজারে বেশ কয়েক ঝুড়ি ইলিশ মাছ দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। কাঁথি শহরের আঠিলাগড়ি এলাকার বাসিন্দা মলয় ধর বলেন, ‘‘বর্ষার শুরুতেই এ বার বাজারে ইলিশের দেখা মিলেছে। তাই ‘মিস’ করতে চাইনি। বাড়ির জন্য কিনেছি।’’ সুপার মার্কেটের এক মাছ বিক্রেতার দাবি, ‘‘বহু কষ্টে দু’ঝুড়ি মাছ জোগাড় করেছিলাম। সকাল থেকেই চাহিদা থাকায় বেলা দশটার আগেই সব বিক্রি বয়ে যায়।’’

প্রসঙ্গত, ১৪ জুন মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়সীমা ‘ব্যান পিরিয়ড শেষ হয়েছে। কিন্তু দিঘা মোহনা মাছ নিলাম কেন্দ্র করোণা সংক্রমণের আশঙ্কায় আপাতত চালু না হওয়ায় মাছ কোথায় বিক্রি হবে তা নিয়ে সংশয়ে অনেক ট্রলার ১৫ জুন সমুদ্রে যায়নি। যদিও, শৌলা, জুনপুট মন্দারমণি সংলগ্ন খটি এলাকায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছে। তার ফলেই বাজারে রুপোলি শস্যের দেখা মিলেছে বলে দাবি মৎস্যজীবীদের।

Advertisement

মরসুমের শুরুতেই মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশের আমদানি লকডাউনের সুফল বলে মৎস্যজীবীদের একাংশের মত। তাঁদের দাবি, লকডাউনের জেরে এবছর সাগরে দূষণের মাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া কেন্দ্র সরকারের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে ৪৫ দিনের নিষিদ্ধ সময়সীমা সঠিকভাবে পালিত হয়েছে। তাই মাছ ধরার মরসুমের শুরু থেকে ইলিশের দেখা মিলবে বলে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে কয়েকদিন ধরে উপকূলবর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝির ঝিরে বৃষ্টিও ইলিশ পাওয়ার অনুকূল অবস্থা তৈরি করেছিল। এমন আবহাওয়া চলতে থাকলে ইলিশের জোগান আরও বাড়তে পারে দাবি মৎস্যজীবীদের।

দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘এদিন যে ইলিশ পাওয়া গিয়েছে, তা বড় বড় ট্রলারে ধরা পড়েনি। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের ধরা এবং হিমঘরে থাকা ইলিশ হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন