jagannath temple

Digha: জগন্নাথ মন্দিরের ভিত পুজোয় মন্ত্রী

নিউ দিঘায় রেলস্টেশের ঠিক পাশেই তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ সেবাধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। এর জন্য ২২ একর জমি দরকার ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ০৭:৪৯
Share:

মন্দিরের ভিত পুজোর স্থলে মন্ত্রী অখিল গিরি। নিজস্ব চিত্র।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সম উচ্চতায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হল দিঘায়। মঙ্গলবার শুভ অক্ষয়তৃতীয়া তিথিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হিডকো’কে। এদিন ভিত পুজোর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অখিল গিরি ছাড়াও জেলাসভাধিপতি দেবব্রত দাস, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী-সহ হিডকোর আধিকারিকরা ছিলেন।

Advertisement

নিউ দিঘায় রেলস্টেশের ঠিক পাশেই তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ সেবাধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। এর জন্য ২২ একর জমি দরকার ছিল। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ২০ একর জমি দিয়েছে। বাকি জায়গা রেল কর্তৃপক্ষের হওয়ায় তা পাওয়া যায়নি। ইতিপূর্বে প্রস্তাবিত যে জমিতে জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠবে তার চারদিকে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত সেই কাজ শেষ পর্যায়ে। এদিন জগন্নাথ মন্দিরের ভিত পুজোর পাশাপাশি মন্দিরের নকশাও প্রকাশ করা হয় নির্মাণকারী সংস্থা হিডকোর তরফে। হিডকোর ইঞ্জিনিয়ার সুমন নিয়োগী বলেন, ‘‘ওড়িশার পুরীতে যে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে সেই একই উচ্চতায় এখানেও মন্দির হবে। সেইসঙ্গে মন্দিরের আনুষঙ্গিক যা কিছু থাকে সবটাই নির্মাণ করা হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মন্দির নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার আপাতত দুশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি ওই টাকায় সৌন্দর্যায়নের কাজও করবে হিডকো। যদিও, এদিন ভিত পুজোর অনুষ্ঠানে মন্দির নির্মাণ করার পরেও বেশ কিছ পরিকাঠামোর নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মন্ত্রী থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শুরু হলেও জগন্নাথের মাসির বাড়ি কোথায় হবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। তাছাড়া, পৃথকভাবে কোনও রথ তৈরি করা হবে কিনা কিংবা সেই রথ জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত কোন রাস্তা ধরে যাবে তাও চূড়ান্ত হয়নি।ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত রথের রশি টানার জন্য লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। তার জন্য সৈকত শহরের রাস্তা আরও চওড়া করার দাবিও উঠেছে এদিন। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘দিঘা থানার উল্টোদিকে সমুদ্র সৈকতের একেবারে পাশে যেখানে পুরনো জগন্নাথ মন্দির রয়েছে তা কিছুটা সংস্কার করে মাসির বাড়ি তৈরি করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকেও সেই প্রস্তাব পাঠানো হবে। তাঁর অনুমোদন পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Advertisement

২০২৩ সালের মধ্যে যাতে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করা হয় সে জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত জগন্নাথ মন্দিরের খোঁজখবর রাখেন। নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি পুজো দিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। সে জন্য নির্মাণ কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement