হাসপাতালে শুয়েই সময় কাটছে রামবাবুর

শরীরে একাধিক রোগ। আদালতও তার যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে। তাই আপাতত জেল হাসপাতালই ঠাঁই বাসব রামবাবুর।ধরা পড়ার পর থেকে পুলিশি হেফাজতে ছিল এই রেলমাফিয়া। মঙ্গলবার জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। ওই দিন বিকেলেই মেদিনীপুর জেলে আসে শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় অন্যতম এই অভিযুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৬
Share:

শরীরে একাধিক রোগ। আদালতও তার যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে। তাই আপাতত জেল হাসপাতালই ঠাঁই বাসব রামবাবুর।

Advertisement

ধরা পড়ার পর থেকে পুলিশি হেফাজতে ছিল এই রেলমাফিয়া। মঙ্গলবার জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। ওই দিন বিকেলেই মেদিনীপুর জেলে আসে শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় অন্যতম এই অভিযুক্ত। তারপর থেকেই রামবাবু জেল হাসপাতালে। জেলের এক কর্তা বলেন, “ওর যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ রয়েছে। জেল হাসপাতালেই সেই চিকিৎসা চলছে।”

তবে জেল সূত্রে খবর, নতুন করে রামবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। বুধবার দিনভর স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছে। তবে সারাদিনই তারা কেটেছে বিছানায়।

Advertisement

তা কী হয়েছে রামবাবুর? জানা গিয়েছে, রামবাবুর স্পন্ডিলাইটিস আর হাইপ্রেসার রয়েছে। তার আইনজীবী মৃণাল চৌধুরীও বলেন, ‘‘ওর চিকিৎসার প্রয়োজন।’’ যদিও শ্রীনু মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এখন এমন রোগ প্রায় সকলেরই হয়।’’

২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের তানুকা থেকে রামবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করে এই রেলমাফিয়াকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। সে ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে ছিল। এই সময়ের মধ্যে রামবাবুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে পুলিশের এক সূত্রে খবর, বেশির ভাগ প্রশ্নেরই সদুত্তর এড়িয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলে ঢোকার সময়ে রামবাবুর চোখে-মুখে একটা ক্লান্তি ছিল। বুধবার সেই ক্লান্তি দূর হয়েছে। খড়্গপুরের এক অশান্তির মামলায় গ্রেফতার হয়ে মাস কয়েক আগেও মেদিনীপুর জেলে এসেছিল রামবাবু। পরে সে জামিন পায়। কয়েক মাস পেরোতে না-পেরোতে এ বার শ্রীনু হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ফের জেলে এসেছে রামবাবু। জেলের এক সূত্রও মানছে, এই সময়ের মধ্যে এই রেলমাফিয়ার ‘লুক’ও অনেকটা বদলে গিয়েছে। গালভর্তি দাড়ি, মাথাভর্তি চুল— কিছুই নেই।

জামিন নাকচ: শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় ধৃত বরুণ ঘোষের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল মেদিনীপুর জেলা আদালত। এই আবেদনের শুনানির দিন ছিল বুধবার। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী মৃণাল চৌধুরী দাবি করেন, বরুণ ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক পাল্টা দাবি করেন, এই অভিযুক্ত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। শ্রীনু খুনের বিষয়টি সে জানত। অভিযুক্তদের সে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। সব শুনে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন