সরকারের বর্ষপূর্তিতে একতা-সম্প্রীতির বার্তা

গত পাঁচ বছর ধরে জেলা সদর মেদিনীপুরে সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বারই প্রথম খড়্গপুরে তিনদিনের অনুষ্ঠান হওয়ায় শহরে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিল খড়্গপুর পুরসভা। তবে শহরে শিল্পী বাছাইয়ের ঘিরে উঠেছিল নানা অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

সৌজন্য: তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মুখোমুখি পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ও সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

একতাই সম্প্রীতি— এই স্লোগান সামনে রেখে সূচনা হল রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে জেলাস্তরের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান চলবে কাল, শনিবার পর্যন্ত।

Advertisement

এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবেত সঙ্গীত, নৃত্য, বাউল, ঝুমুর থেকে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ণমূলক কর্মসূচির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার প্রমুখ। প্রথম দিনের আকর্ষণ ছিল শিল্পী জোজোর গান, জলপাইগুড়ির রাভা-নৃত্য। আজ, শুক্রবার ইন্দ্রনীল দত্ত, মেখলা দাশগুপ্তের সঙ্গীত ও শনিবার শেষ দিনে সপ্তক ভট্টাচার্যের
সঙ্গীত, বাউলগান, কবিগান ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে।

গত পাঁচ বছর ধরে জেলা সদর মেদিনীপুরে সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বারই প্রথম খড়্গপুরে তিনদিনের অনুষ্ঠান হওয়ায় শহরে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিল খড়্গপুর পুরসভা। তবে শহরে শিল্পী বাছাইয়ের ঘিরে উঠেছিল নানা অভিযোগ। প্রচার ছাড়াই কীভাবে শিল্পী বাছাই হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শহরের একাংশ শিল্পী। যদিও শহরের বুকে প্রথমবার সরকারি উদ্যোগে এমন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের সমস্ত শিল্পীরা। সেই সঙ্গে সরকারের নানা কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত স্টল, পুলিশের স্টল, বইয়ের স্টল, সবংয়ের মাদুরের স্টল, জেলা পর্যটন শিল্পের স্টল, বন বিভাগের স্টল, হস্তশিল্পের স্টল নজর কেড়েছে। পর্যটন শিল্পের স্টলে থাকা সৌমেন্দু দে বলেন, “প্রথম দিনেই ভাল সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই বাইরে ঘুরতে যান। কিন্তু জেলার মধ্যেও যে বেশকিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেটি দেখে সকলেই খুশি।”

Advertisement

এ দিন স্টল ঘুরে এসে মঞ্চে মানস ভুঁইয়া বলেন, “ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের মতো অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি নেই। কেন্দ্রের সরকার টাকা কেটে নিচ্ছে। কোনও কর্মসূচির অর্ধেক টাকা বাকি। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “কিছু মানুষ বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে পাহাড়ের হাসি স্তব্ধ করতে আগুন জ্বালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পাহাড়কে ভাগ করতে দেব না। আর আমি জেলা পুলিশ সুপারকে নমস্কার জানাচ্ছি। রক্তস্নাত মেদিনীপুরে আজ শান্তি বিরাজ করছে। সেখানে তাঁর ভূমিকা অনবদ্য।” তার আগে জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “জেলা পুলিশ আপনাদের পাশে আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন