মুক্তমঞ্চ: এখানেই হবে নতুন মঞ্চের কাজ। নিজস্ব চিত্র
প্রয়োজনের তুলনায় মঞ্চের সংখ্যা কম। তাই প্রায়শই ইতিউতি প্যান্ডেল করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়। পরিস্থিতি দেখে শালবনিতে মুক্তমঞ্চ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন। মাদার টেরিজার নামে মুক্তমঞ্চের নামকরণ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে।
প্রশাসনের আশা, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে মঞ্চের কাজ শেষ হবে যাবে। অগস্ট মাসেই মুক্তমঞ্চের উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। শালবনির বিডিও পুষ্পল সরকারের কথায়, “শালবনির মতো এলাকায় একটি মুক্তমঞ্চের খুব প্রয়োজন। তাই এই উদ্যোগ। এতে এলাকার সংস্কৃতিচর্চার প্রসারও হবে।” একই মত শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহের। তাঁর কথায়, “ব্লক সদরে মুক্তমঞ্চ হলে এলাকার মানুষই উপকৃত হবেন। এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।”
শালবনিতে নতুন একটি পার্কও গড়ে তোলা হয়েছে। ব্লক সদরে একফালি জায়গার ওপরই এই পার্ক গড়ে উঠেছে। কয়েকটি ধাপে পরিকাঠামো গড়ার কাজ হয়েছে। শীঘ্রই এই পার্ক খুলে দেওয়া হবে এলাকাবাসীর জন্য। এই পার্কের মধ্যেই মুক্তমঞ্চ তৈরি হচ্ছে। কাজ এগোতে ‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’ থেকে অর্থ সহায়তাও চেয়েছে ব্লক প্রশাসন।
বিডিও পুষ্পলবাবুর কথায়, “ওই প্রকল্প থেকে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে। মুক্তমঞ্চ সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি, পরিকল্পনা মতোই কাজ করা সম্ভব হবে।” প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, নতুন পার্কের নাম রাখা হবে ‘শৈশব’। এখন একটু ফাঁকা জায়গার বড়ই অভাব। যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে মুক্তমঞ্চ থাকলেও সব এলাকায় নেই। শালবনিতে প্রায়ই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মুক্তমঞ্চ না- থাকায় অনেক সময়ই সমস্যায় পড়েন উদ্যোক্তারা। কারণ, সভাঘরের সাউন্ড সিস্টেম খুব ভাল নয়। কখনও কখনও শব্দ স্পষ্ট শোনা যায় না। শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “মুক্তমঞ্চের পরিবেশ অন্য রকম হবে। আশপাশের এলাকারও সৌন্দর্যায়ন করা হবে।”