শিলাবতীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমতে শুরু করে ঘাটাল সংশোধনাগারেও। পরিস্থিতি দেখে ঘাটাল জেলের বন্দিদের মেদিনীপুর জেলে সরানো হয়েছে। দিন কয়েক আগে এই বন্দি স্থানান্তর হয়েছে। জেল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিরাপত্তার জন্যই এই পদক্ষেপ। ঘাটালের জেলার মুকেশ লায়েক বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
জেলের এক কর্মীর কথায়, “জলমগ্ন ঘাটালের যা পরিস্থিতি তাতে বন্দিদের অন্যত্র সরানো ছাড়া উপায় ছিল না। অনভিপ্রেত কিছু ঘটে গেলে তখন তার দায় কে নেবে? এ ক্ষেত্রে বন্দিদের নিরাপত্তার বিষয়টিই বড়। মেদিনীপুরে সরানোর ফলে বন্দিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়েছে।” এখনই মেদিনীপুরে থেকে বন্দিদের ঘাটালে ফেরানোর কোনও চিন্তাভাবনা নেই।
কারা দফতরের এক সূত্রে খবর, ঘাটালে জল নামলে তারপর সব দিক খতিয়ে দেখে ফের বন্দিদের ঘাটালে ফেরানো হবে। দফতরের এক কর্তার কথায়, “এ ক্ষেত্রে তো তাড়াহুড়োর কোনও ব্যাপার নেই। জল নামলে তখন এ নিয়ে ফের পদক্ষেপ করা হবে।” ঘাটাল জেলে খুব বেশি বন্দি ছিলেন না। সবমিলিয়ে ২৪ জন ছিলেন। এরমধ্যে ২ জন মহিলা। কেউ সাজাপ্রাপ্ত নন। সকলেই বিচারাধীন। ঘাটাল জেলও খুব বড় নয়। ওয়ার্ড রয়েছে ৩টি। এরমধ্যে ১টি পুরুষদের। ২টি মহিলাদের। সেল রয়েছে ১টি।
সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই ঘাটালের একের পর এক এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করে। পরিস্থিতি খারাপ হয় ২৬ জুলাই রাতে। ওই দিন ঘাটালের প্রতাপপুরে শিলাবতীর বাঁধ ভেঙে যায়। ঘাটালের পরিস্থিতি দেখেই বন্দি সরানো শুরু হয়।