School Building

ভোলবদলে কু-ঝিকঝিক স্কুলবাড়ি

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিপিনবিহারী জানা বলেন, ‘‘খুব সমস্যার মধ্যে কাজ চালাতে হত। বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরীর উদ্যোগেই বিদ্যালয়টি নতুন করে গড়ে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মোহনপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪৫
Share:

ট্রেনের কামরার আদলে তৈরি হয়েছে স্কুল ভবন। নিজস্ব চিত্র

স্কুল ছুটি। এখন ঘরেই আছে খুদেরা। তার মাঝেই নতুন আদলে সেজে উঠল তাদের স্কুল। মোহনপুরের বারুইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে যাত্রিবাহী ট্রেনের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে। পড়ুয়াদের অপেক্ষায় কু ঝিক ঝিক করে দৌড়নোর সাজে তৈরি স্কুলটি।

Advertisement

একেবারে যেন একটি কামরা। দরজা, জানলা সব একইরকম। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা ও উদ্যোগে নতুন করে গড়ে ওঠা স্কুলটি কয়েকদিনের মধ্যে জেলা শাসকের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। বারুইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মাথার উপর কংক্রিটের ছাদ ছিল না। খসে পড়ছিল দেওয়ালের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা। স্কুলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়। স্কুলের আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে বিদ্যালয়টিকে নতুন করে তৈরি করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পুরনো ভবনের অনেকটা অংশ ভেঙে নতুন করে গড়তে হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাঠানো সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ১৪ লক্ষ ও ব্লকের বিভিন্ন তহবিল থেকে মিলিয়ে মোট প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে বিদ্যালয়টি। তিনটি কক্ষ, অফিস ঘর, শৌচাগার, রান্নাঘর, একাধিক ট্যাপ কল যুক্ত হাত ধোয়ার জায়গা-সহ বিদ্যালয়ের সামনের অংশটি সুন্দর করে গড়ে তোলা হয়েছে। মাঠে বসানো হয়েছে শৌখিন ঘাস, গাছ, শিশুদের খেলার ও বিনোদনের বিভিন্ন সামগ্রী। সীমানা প্রাচীরের ভেতরে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু আলয়। শিশুদের উপযোগী করে সাজানো হয়েছে তাকেও। বিদ্যালয়ের দেওয়ালে নানা শিক্ষণীয় বিষয়ের ছবির পাশাপাশি আঁকা হয়েছে বিভিন্ন কার্টুন। সেখানে জল অপচয় বন্ধ, হাত ধুয়ে খাবার খাওয়া, শৌচাগারের ব্যবহার, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এবং নানা নিয়ম ও পালনীয় বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিপিনবিহারী জানা বলেন, ‘‘খুব সমস্যার মধ্যে কাজ চালাতে হত। বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরীর উদ্যোগেই বিদ্যালয়টি নতুন করে গড়ে উঠেছে। পরিকল্পনাও তাঁর। পড়ুয়া ও আমরা খুব আনন্দিত। পড়াশোনায় আরও জোর দেওয়া হবে। ব্লক প্রশাসনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’ স্কুল খুললেই স্কুলটিকে আরও আকর্ষণীয় করতে চান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মোহনপুর বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘২০১৮ সালে একবার পরিদর্শনে গিয়ে খারাপ অবস্থায় দেখেছিলাম স্কুলটিকে। জেলাশাসকের সহযোগিতায় কাজটি সম্ভব হয়েছে।’’

Advertisement

স্কুলে কবে খুলবে এখনও কোনও সঠিক নির্দেশিকা নেই। স্কুল খুললেই নতুন স্কুল পেয়ে বেশ আনন্দিত হবে পড়ুয়ারা। জ্ঞানের ঝুলি নিয়ে ট্রেনে চেপে যেন যেতে পারবে অনেক দূর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন