শাবক: এনক্লোজারে মা ও ছানারা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
আগের অভিজ্ঞতা ভাল ছিল না। তাই জন্মের পরই ওদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো মায়ের কাছেও রাখা যাবে না। তবে সে আশঙ্কা সত্যি হয়নি। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক-এর ঘেরাটোপে মায়ের সঙ্গেই খেলে বেড়াচ্ছে দুই নেকড়ে ভাইবোন।
এই চিড়িয়াখানাতেই একটি স্ত্রী হায়না প্রসবের পরে তার সন্তানদের খেয়ে ফেলেছিল। তাই এ বার নেকড়ে শাবকগুলিকেও আলাদা এনক্লোজারে রেখেছিলেন কর্মীরা। তবে মায়ের থেকে আলাদা করে নয়। বরং সতর্ক নজরদারির মধ্যে মা ও তার ছানাদের প্রায় পাঁচ মাস রাখা হয়েছে। মায়ের দুধ খেয়েই বড় হয়েছে ছানা দু’টি। এখন অবশ্য তারা একটু একটু করে মাংস খেতে শুরু করেছে, সঙ্গে ভিটামিন। আর একটু বড় হলেও ওদের অন্য নেকড়েদের সঙ্গে রাখা হবে। দক্ষিণবঙ্গের কোনও চিড়িয়াখানায় এ ভাবে নেকড়ে শাবককে বাঁচিয়ে তোলা প্রায় নজিরবিহীন, দাবি করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জু-অথরিটি’।
ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় ছিল দু’টি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ, তিনটি স্ত্রী নেকড়ে। ৭ জানুয়ারির ওই ছানা দু’টির জন্ম দেয় একটি স্ত্রী নেকড়ে। তারপর থেকে তাদের দেখার জন্য ভিড়ও হচ্ছে প্রচুর, জানালেন চিড়িয়াখানার কর্মী সাহেবরাম মুর্মু, শম্ভু মুর্মুরা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শাবক দু’টি বড় হলে তাদের মূল এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হবে।