কুরকুট থেকে চুমকি, থিমের সাজ বাগদেবী আরাধনাতেও

শহরের মাঝে একখণ্ড জঙ্গলমহল! পাহাড়ি পথের দু’পাশে শাল গাছের জঙ্গল আর ইতিউতি বাবুই গাছের ঝোপ। শালপাতায় সার সার লাল বড় পিঁপড়ের দল। স্থানীয় ভাষায় ওই পিঁপড়েকে বলা হয় ‘কুরকুট’। প্রত্যন্ত জনজাতির মানুষ মরশুমে এই লালপিঁপড়ে ও পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

বরফের দেশে। তমলুকের একটি মণ্ডপে (উপরে)। নিজস্ব চিত্র।

শহরের মাঝে একখণ্ড জঙ্গলমহল! পাহাড়ি পথের দু’পাশে শাল গাছের জঙ্গল আর ইতিউতি বাবুই গাছের ঝোপ। শালপাতায় সার সার লাল বড় পিঁপড়ের দল। স্থানীয় ভাষায় ওই পিঁপড়েকে বলা হয় ‘কুরকুট’। প্রত্যন্ত জনজাতির মানুষ মরশুমে এই লালপিঁপড়ে ও পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জঙ্গলমহলবাসীর একাংশ কুরকুট বেটে সুস্বাদু চাটনি বানিয়ে ভাতের সঙ্গে খান। ছিপে মাছ ধরার চার হিসেবে কুরকুটের ডিম ব্যবহার করা হয়। শহরের খোলা বাজারে এই লাল পিঁপড়ে ও পিঁপড়ের ডিম বেচলে ভাল দাম মেলে।

Advertisement

সেই কুরকুটই এ বার সরস্বতী পুজোর থিমে। ঝাড়গ্রাম শহরের অরবিন্দপল্লী এলাকার অরবিন্দ সঙ্ঘের ২৯ তম বর্ষের সরস্বতী পুজোর থিম ‘কুরকুটের গল্প’। থিম ভাবনা ও রূপায়নে রয়েছেন গিধনির শিল্পী বুদ্ধেশ্বর আহির। চট, ফোম, বাঁশ, থার্মোকল, খড়, কাগজের মণ্ড আর রং দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মূল মণ্ডপটি অবশ্য একটি প্রতীকী শালগাছ। সেই গাছের পাতায় পাতায় লাল পিঁপড়ে। মণ্ডপের ভিতরে গাছের শিকড়ের মতো সরস্বতীর মূর্তিটি কাগজের মণ্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী বুদ্ধেশ্বর আহির। পুজোর উদ্যোক্তা উত্তম বারিক, সোমনাথ মাহাতোদের বক্তব্য, জঙ্গলমহলের জনজাতির এক সংগ্রামের পরম্পরা শহরের মানুষের সামনে তুলে ধরতেই এমন
থিমের ভাবনা।”

‘কুরকুটের গল্প’ থিমের প্রতিমা ঝাড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

থিমের বৈচিত্র্যে এ বারও নজর কাড়তে প্রস্তুত হলদিয়া শিল্পাঞ্চল লাগোয়া সবুজ ঘেরা এই গ্রাম। পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ থেকে দুঃস্থ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বুক ব্যাঙ্ক সবই রয়েছে সরস্বতী পুজোর থিমে। চির নবীন ক্লাবের সম্পাদক কল্যাণসুমন মিশ্র বলেন, ‘‘আমাদের ক্লাবের পুজো তিরিশ বছরে পড়েছে। আমাদের পুজোর বৈশিষ্ট্য হল থিমের মণ্ডপসজ্জা।’’ ঋষি অরবিন্দ ক্লাবের সম্পাদক দেবাশিষ মাইতি বলেন, ‘‘সিডি, ক্যাসেট ও চুমকির প্রতিমা গড়া হয়েছে।’’

তমলুক শহরের ১ নং ওয়ার্ডের পদুমবসানে আজ থেকে শুরু হল চারদিন ব্যাপী সারস্বত উৎসব। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবাসবাড়ি, পদুমবসান ও সৈয়দপুর এই তিনটি গ্রামের কয়েকশো শিশু ও মহিলাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সব শেষে থাকে যাত্রাপালা।

থিমের বৈচিত্র্যে এ বারও নজর কাড়তে প্রস্তুত হলদিয়া শিল্পাঞ্চল লাগোয়া সবুজ ঘেরা এই গ্রাম। পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ থেকে দুঃস্থ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বুক ব্যাঙ্ক সবই রয়েছে সরস্বতী পুজোর থিমে। চির নবীন ক্লাবের সম্পাদক কল্যাণসুমন মিশ্র বলেন, ‘‘আমাদের ক্লাবের পুজো তিরিশ বছরে পড়েছে। আমাদের পুজোর বৈশিষ্ট্য হল থিমের মণ্ডপসজ্জা।’’ ঋষি অরবিন্দ ক্লাবের সম্পাদক দেবাশিষ মাইতি বলেন, ‘‘সিডি, ক্যাসেট ও চুমকির প্রতিমা গড়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement