মশা মারার ব্যবস্থাই নেই ঝাড়গ্রামে

সদ্য নতুন জেলা হয়েছে ঝাড়গ্রাম। কিন্তু জেলার শহরে মশার উৎপাতে জেরবার পুরবাসী। মশা মারার উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই ‘ডি’ ক্যাটাগরি ভুক্ত ঝাড়গ্রাম পুরসভার। ছোট পুরসভা, তাই নিজস্ব কোনও পতঙ্গবিদ নেই। নেই পর্যাপ্ত সাফাই কর্মীও।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৭
Share:

জঞ্জাল: এমনই হাল ঝাড়গ্রামের অধিকাংশ নালার। —নিজস্ব চিত্র।

সদ্য নতুন জেলা হয়েছে ঝাড়গ্রাম। কিন্তু জেলার শহরে মশার উৎপাতে জেরবার পুরবাসী। মশা মারার উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই ‘ডি’ ক্যাটাগরি ভুক্ত ঝাড়গ্রাম পুরসভার। ছোট পুরসভা, তাই নিজস্ব কোনও পতঙ্গবিদ নেই। নেই পর্যাপ্ত সাফাই কর্মীও।

Advertisement

মশা মারার জন্য ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কালেভদ্রে স্প্রে করেন পুরকর্মীরা। মশার মরসুমে পুরসভার প্রচারগাড়ি অবশ্য ছোটে শহরের রাস্তায়। ছড়ানো হয় প্রচারপত্রও। কিন্তু সেভাবে ওয়ার্ড-ভিত্তিক সচেতনার কাজটা হয় না বলেই মানছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তাই এ বার স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মশা মারতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাইক্রোপ্ল্যান করে প্রতিটি পরিবারকে সচেতন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম শহরে ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত অসুখ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে ৪১টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতি দলে ২ জন করে ৮২ জনকে মাঠে নামানোর আগে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই দলের সদস্যরা পুর এলাকার প্রতিটি বাড়িতে মাসে ২ বার করে যাবেন। প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে পুরসভার হেলথ কার্ড। দলের সদস্যরা গিয়ে পরিবারগুলির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।

Advertisement

গত বছর ঝাড়গ্রাম শহরে মশা-বাহিত জ্বরে আক্রান্ত হন ২৩ জন শহরবাসী। এর মধ্যে এক শিশু-সহ ১২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। জ্বরে গত এক বছরে শহরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব জানান, মশাবাহিত অসুখ ঠেকাতে ‘হাউস টু হাউস সার্ভে’ এবং পুরসভার একশো শতাংশ এলাকাকে নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরপ্রধানের আবেদন, “শহরবাসীকেও সতর্ক-সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। মশার বংশবৃদ্ধি হয়, এমন পরিস্থিতি তৈরি করা চলবে না।”

পুরসভা সূত্রের খবর, কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) কাছে একটি পরিকল্পনা-প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কাজ শুরু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে পুরসভাকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদেরও সচেতন করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement