সরকারি নাট্য উৎসবে ভরসা বেসরকারি মঞ্চ

আগামী ১ বৈশাখ পৃথক জেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করবে ঝাড়গ্রাম। অথচ ঝাড়গ্রাম শহরে নেই কোনও আধুনিক মানের প্রেক্ষাগৃহ। রাজ্যস্তরের সরকারি নাট্য উৎসব আয়োজন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

আগামী ১ বৈশাখ পৃথক জেলা হিসেবে যাত্রা শুরু করবে ঝাড়গ্রাম। অথচ ঝাড়গ্রাম শহরে নেই কোনও আধুনিক মানের প্রেক্ষাগৃহ। রাজ্যস্তরের সরকারি নাট্য উৎসব আয়োজন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Advertisement

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঝাড়গ্রাম শহরে শুরু হচ্ছে অন্তর্বঙ্গ নাট্য-উৎসব। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির উদ্যোগে আয়োজিত ওই উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। টানা পাঁচদিন অরণ্যশহরের বলাকা রঙ্গমঞ্চে কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলার সাতটি নাটকের দল তাদের নাটক মঞ্চস্থ করবে। শহরে সরকারি কোনও প্রেক্ষাগৃহ নেই। শহরের কেন্দ্রস্থলে বেসরকারি হাতে থাকা দেবেন্দ্রমোহন হলের (ডিএম হল) অবস্থা খারাপ। সেখানে বসার কোনও ব্যবস্থা নেই। আয়োজকদের চেয়ার ভাড়া করে আনতে হয়। বাম আমলে শহরের বাছুরডোবায় তৎকালীন বাম পুরবোর্ডের উদ্যোগে একটি টাউন হল তৈরি করা হয়েছিল। যদিও সেখানে এখনও পরিকাঠামো-উন্নয়নের কাজ বাকি রয়েছে। অগত্যা নাট্য উৎসবের জন্য বেসরকারি সংস্থার পরিচালনাধীন বলাকা রঙ্গমঞ্চটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এই মঞ্চ খুবই ছোট। বসার ব্যবস্থা ও গ্রিনরুমের পরিকাঠামো ভাল নয়।

ঝাড়গ্রামের নাট্যকর্মীরা মানছেন, এত বড় মাপের উৎসবের জন্য অরণ্যশহরে প্রয়োজনীয় মঞ্চ নেই। ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলছেন, “সাংস্কৃতিক মঞ্চের সমস্যা মেটানোর জন্য আগামী দিনে পুরসভা পদক্ষেপ করবে।”
উন্নতমানের মঞ্চ না থাকলেও কেন উৎসব ঝাড়গ্রামে হচ্ছে? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথ্য আধিকারিক কৌশিক নন্দী বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে ঝাড়গ্রামে নাট্যচর্চার ধারা খুব সমৃদ্ধ। সব দিক খতিয়ে দেখে তাই এ বার ঝাড়গ্রামে এই উৎসব হচ্ছে।”

Advertisement

নাট্য-উৎসবে ঝাড়গ্রাম অথবা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোনও দলকে নাটক মঞ্চস্থ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের এক সূত্রে বক্তব্য, এলাকার দর্শকরা সারা বছর স্থানীয় দলগুলির নাটক দেখার সুযোগ পান। সেই কারণে উৎসবে অন্য জেলার দলই আসছে। তবে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন নাট্য গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের উৎসব আয়োজন কমিটিতে রাখা হয়েছে।

তথ্য দফতরের আধিকারিকরা স্বীকার করছেন, ভাল মঞ্চ না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিকের কথায়, নাট্য উৎসব ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাট্য-উৎসব নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে, মাধ্যমিক পরীক্ষার ঠিক আগে এমন উৎসবে দর্শক সমাগম কেমন হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে। আয়োজকদের অবশ্য দাবি, প্রবেশ অবাধ হওয়ার ফলে দর্শক সংখ্যায় খামতি হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন