জেলবন্দির নাম করে তোলাবাজি, ধৃত তিন

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিকাশ বর্মা, সুরজ সিং ও এ কালু রাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

খড়্গপুরে গ্রেফতার হওয়া তিন যুবক। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া জেলের ভিতর থেকে তোলাবাজির অভিযোগে আগেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল পুলিশ। জেরা করে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল মোবাইল। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। ফের ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়াল রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় প্রসাদ নামে ওই জেলবন্দির। তার তিন সহযোগীকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিকাশ বর্মা, সুরজ সিং ও এ কালু রাও। বিকাশ শহরের শাস্ত্রীনগরের, সুরজ পুরীগেটের ও এ কালু রাও ঝাড়খণ্ড বস্তির বাসিন্দা। তাদের থেকে একটি পাইপগান ও একটি বুলেট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃতদের জেরা করেই ওল্ড সেটলমেন্টের বাসিন্দা সঞ্জয় প্রসাদের নাম উঠে আসে। সোমবার ফের সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছেন এসডিপিও সুকোমল দাস। গত সেপ্টেম্বরেও তার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিলেন তিনি। অক্টোবরে বাঁকুড়ার জেলে গিয়ে সঞ্জয়ের থেকে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল। ফের তোলাবাজির ঘটনায় তার নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশ মহলে। একইসঙ্গে উঠে এসেছে কালী নামে সঞ্জয়ের আরও এক সহযোগীর নাম। খরিদার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে মালঞ্চর বাসিন্দা ব্যবসায়ী আশিস গুপ্তর কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোনে নিজেকে সঞ্জয় প্রসাদ বলে দাবি করে একজন জানায়, তার সহযোগীদের হাতে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। এর পরেই বিকাশ বর্মা-সহ তিন যুবক এসে ওই ব্যবসায়ীর থেকে টাকা চায়। তিনি টাকা দিতে না পারায় ওই তিন যুবক রাতে আসবে জানিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা জেনে ওই ব্যবসায়ীর এক পরিচিত বিষয়টি থানায় জানান। তার পরেই এসডিপিও সুকোমল দাস, সাব-ইন্সপেক্টর সুকমোল ঘোষের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। রাতে ওই যুবকেরা একটি স্কুটিতে ফের মালঞ্চ এলাকায় এলে তাদের পাকড়াও করে পুলিশ। স্কুটি থেকে বাজেয়াপ্ত হয় আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতেরা প্রাথমিকভাবে নিজেদের সঞ্জয় প্রসাদ ও কালীর সহযোগী বলে দাবি করেছে।

Advertisement

ব্যবসায়ীর কাছে যে ফোনটি এসেছিল সেটা সঞ্জয় নিজে করেছিল না অন্য কেউ সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “এক ব্যবসায়ীকে ফোন করে তোলা চেয়ে সহযোগীদের পাঠিয়েছিল সঞ্জয় প্রসাদ। খবর পেয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলাবাজি ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন