পণের টাকা না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামী-সহ তিনজনের। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট) পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আহমতুল্লা ও তাঁর দাদু আলি মহম্মদ, ঠাকুমা গোলেনুর বিবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আহমতুল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জান্নাতুন বিবির। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার টাকা চায় আহমতুল্লার পরিবার। টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই বধূর উপর নির্যাতন করত বলে অভিযোগ। ২০১৪ সালের পয়লা অগস্ট ওই গৃহবধূকে স্বামী-সহ পরিবারের লোকেরা খুন করে বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বাবা মেয়েকে খুনের অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী, স্বামীর দাদু ও ঠাকুমার বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই গৃহবধূকে খুনের মামলা দায়ের করে। জেলা আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী আইনজীবী আবদুল মোহিত জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের (ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট ) এজলাসে শুনানির পর বিচারক স্বামী-সহ একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।