অবৈধ বালি খাদানে মদত দেওয়ার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতি। ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় মাহাতোকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অনিল মণ্ডল শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, “অবৈধ বালি খাদান নিয়ে দলনেত্রীর কড়া নিষেধ সত্ত্বেও ধনঞ্জয়বাবু এলাকায় বেআইনি বালি খাদান চালানোর ব্যাপারে বালি কারবারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয়স্তরে অনুসন্ধান করা হয়। সুনিদিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” অনিলবাবু জানান, চুবকা অঞ্চল তৃণমূলের নতুন সভাপতি হয়েছেন সুশান্ত মাইতি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চুবকা অঞ্চলে চিতলবনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কংসাবতী নদীর চরে বেআইনি বালি খাদান চলছিল। বালিবাহী গাড়ি যাতায়াতের ফলে মেউদিপুর থেকে ভিড়িংপুর যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পরে মাস খানেক বেআইনি বালি তোলা বন্ধ রাখা হয়।
সম্প্রতি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে বালি উত্তোলন করার অনুমতি পান ধনঞ্জনবাবুর এক ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার। ওই ঠিকাদারকে চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট দেয়। তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠীর ঠিকাদারও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বালি উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু ওই ঠিকাদারকে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেননি।
এই নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ধনঞ্জয়বাবু বলেন, “আমি কোনও ভাবেই বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত নই। বিভিন্ন সময়ে দলের ব্লক নেতৃত্বের অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছি। হয়তো সেজন্যই ব্লক নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন।” ধনঞ্জয়বাবু জানান, বাম আমল থেকে এলাকায় বালি উত্তোলনের ব্যবসা চলছে। ২০১২ সাল থেকে তৃণমূলের লোকজন বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। এলাকার ১৫৪ জন বেকার যুবক এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া বারোশো শ্রমিকের রুজিরুটি জড়িয়ে বালি খাদানের সঙ্গে।