TMC

বিজেপি-র জেতা বুথে কাজ নয়, হুমকির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, ইস্তফা দলের পঞ্চায়েত প্রধানের

প্রধান ও প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কল রেকর্ডের কথোপকথনও প্রকাশ্য চলে আসায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ঘাটাল     শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ০৭:৩৯
Share:

নিজের দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ইস্তফা দিয়েছেন মনসুকা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পুতুল পাত্র। নিজস্ব চিত্র।

ঘাটালে বিজেপি-র জেতা ৬টি বুথে পরিষেবা দিলে তার ফল ভাল হবে না বলে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে হুমকির অভিযোগ উঠল তাঁর দলের বিরুদ্ধে। এমনকি, এ নিয়ে দলের থেকে খুনের হুমকিও পেয়েছেন বলে দাবি করলেন ঘাটালের মনসুকা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পুতুল পাত্র। এই অভিযোগে বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

পুতুলের বিরুদ্ধে হুইপ জারি করার পর দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা হুইপ দিচ্ছেন। বিজেপি-র জেতা ৬টি বুথ এলাকায় কোনও উন্নয়ন করা যাবে না বলে দলের থেকে বলা হচ্ছে। এমনকি, ওই বুধগুলিতে কোনও পরিষেবা দেওয়া যাবে না, বলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে ঘাটাল আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। ঘাটাল বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি-র শীতল কপাট। ভোটের ফলাফলের পর পুতুলের অভিযোগ, “প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুই-সহ দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী হুইপ জারি করেছেন, অঞ্চলের যে সমস্ত এলাকায় বিজেপি জিতেছে, সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিষেবা দেওয়া যাবে না।” এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ঘাটালে। প্রধান ও প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কল রেকর্ডের কথোপকথনও প্রকাশ্য চলে আসায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

তবে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুয়ের পাল্টা দাবি, “পঞ্চায়েত প্রধান প্রথম কয়েক বছর কাজ করেছেন। তবে তাঁর একগুঁয়েমির জন্য দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ওই প্রধান তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। দলের সভাপতিকে না জানিয়েই ঔদ্ধত্য দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। যে বুথে আমাদের কিছু নেতা ভোটে বেইমানি করেছে, সে বুথে আপাতত কাজ হবে না বলে দলের তরফে স্থির হয়েছে। এতে লুকোচুরির কিছু নেই।”

তবে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুয়ের পাল্টা দাবি, “পঞ্চায়েত প্রধান প্রথম কয়েক বছর কাজ করেছেন। তবে তাঁর একগুঁয়েমির জন্য দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ওই প্রধান তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। দলের সভাপতিকে না জানিয়েই ঔদ্ধত্য দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। যে বুথে আমাদের কিছু নেতা ভোটে বেইমানি করেছে, সে বুথে আপাতত কাজ হবে না বলে দলের তরফে স্থির হয়েছে। এতে লুকোচুরির কিছু নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন