সুদিনেও কর্মীর খোঁজ তৃণমূলের!

জেলা কিংবা ব্লকে নয়। একেবারে বুথস্তরে নতুন কর্মীর খোঁজ শুরু করেছে তৃণমূল।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০১
Share:

জেলা তৃণমূল সূত্রের মতে, অনেক এলাকায় পুরনোরা এখন নতুনদের দলে জায়গা দিতে চাইছেন না।

অন্যরা দুর্দিনে কর্মী খোঁজে। শাসক দল খুঁজছে সুদিনেও!

Advertisement

জেলা কিংবা ব্লকে নয়। একেবারে বুথস্তরে নতুন কর্মীর খোঁজ শুরু করেছে তৃণমূল। শাসক দল সূত্রের খবর, এ নিয়ে নির্দেশও জারি হয়েছে। জেলা থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই বুথপিছু নূন্যতম ১০ জন কর্মী খুঁজে তাঁদের নাম- ঠিকানার তালিকা জেলায় পাঠাতে হবে।

তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতির কথায়, ‘‘হঠাৎ কেন নতুন কর্মীর খোঁজ শুরু হল বুঝতে পারছি না! আমরা পুরনোরা তো ভালই ছিলাম।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘জেলার নির্দেশ অমান্য করা যায় না। বুথপিছু ১০ জন নতুন কর্মীর নাম চাওয়া হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলে নামের তালিকা তৈরি করে দিয়ে দেব।’’ কিন্তু এখন তো দলের সুদিন। সুদিনেও কর্মীর খোঁজ কেন? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘সবদিক দেখেই যা নির্দেশ দেওয়ার দেওয়া হয়েছে। পুরনোরা থাকবেন। নতুনরাও আসবেন। সকলকে নিয়েই দল চলবে!’’

Advertisement

জেলা তৃণমূল সূত্রের মতে, অনেক এলাকায় পুরনোরা এখন নতুনদের দলে জায়গা দিতে চাইছেন না। ফলে রাজনীতিতে ইচ্ছুক যুবকদের অনেকেই বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন। বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে। এতেই রাশ টানতে চাইছে শাসক। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘ব্লকস্তরে কেউ কেউ দলটাকে নিজের পারিবারিক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন! যা গোছানোর নিজেই গোছাচ্ছেন! কে খারাপ, কে ভাল, কাকে দলে নেওয়া যাবে না, সবই ওরা একা ঠিক করছেন। এ বার ওদের পায়ে বেড়ি পরানোর সময় এসেছে!’’

জেলার জঙ্গলমহলে এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগদানও অব্যাহত রয়েছে। যা আরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এই সময়ের মধ্যে দফায় দফায় মেদিনীপুরে এসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। তার মধ্যে বহু এলাকাতেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ঘাসফুলের দাপট ছিল। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘সবদিকেই নজর রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিকে সরানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও এক- দু'জনকে সরানো হবে।’’

পশ্চিম মেদিনীপুরে বুথ রয়েছে ৩,৭৩০টি। বুথপিছু ১০ জন করে নতুন কর্মীর নাম এলে একলপ্তে ৩৭,৩০০ জন কর্মীর নাম আসার কথা জেলায়। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘এখন তো পুরনোরা দেওয়াল লিখতে চান না! পতাকা ধরতে চান না! নতুন কর্মী খুব দরকার!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন