প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দোলাচলে কর্মীরা। এরই মাঝে বিহারে বিধানসভা ভোটে সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। জোড়া ধাক্কায় হতাশ তৃণমূলের বহু কর্মী- সমর্থক। তাঁদের মনোবল ফেরাতে উদ্যোগী হচ্ছে জেলা তৃণমূল। ভাইফোঁটার পর শুরু হচ্ছে লাগাতার কর্মসূচি। জেলার প্রতিটি বিধানসভার প্রতিটি অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলছে প্রস্তুতি।
দুর্গাপুজোর পর প্রতিটি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী করে তৃণমূল। সেখানে উপচে পড়া ভিড়ে উজ্জীবিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে শুভেন্দুর একের পর এক কর্মসূচি ও নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী বিভ্রান্ত। তার উপর বিহারের ভোটে বিজেপির সাফল্যে তৃণমূলস্তরের কর্মীদের অনেকেই হতাশ। দলের এক জেলা ও এক ব্লক নেতা মানছেন, ‘‘বিধানসভার লড়াইটা খুব কঠিন হবে মনে হচ্ছে।’’
এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের চাঙ্গা করতেই লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। বিজয়া সম্মিলনীর পর কালীপুজো, দেওয়ালি, ভাইফোঁটার কয়েকদিন বিরতির পর প্রতিটি বিধানসভার প্রতিটি অঞ্চলে মিছিল, ছোট ছোট সভা, পোস্টারিং, উন্নয়নমুখী কাজ প্রচারে তুলে ধরার মতো কর্মসূচি হবে। ছাত্র, যুব, মহিলা সহ দলের বিভিন্ন সেল ধরে ধরে কর্মসূচি নিতে বলা হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না।’’ যদিও একে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের মৃত্যুঘন্টা একুশেই বাজবে।’’