মঙ্গলবার দেখা গেল এমনই ছবি।
নিয়ম ভাঙলেন শাসক দলের ছাত্রনেতা-কর্মী ও সমর্থকেরাই। বাস কিংবা ট্রেকারে ছাদে যাত্রী পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। অথচ তার তোয়াক্কা না করেই আইন ভাঙতে দেখা গেল শাসক দলের ছাত্রনেতা-কর্মীদের।
মঙ্গলবার কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত কলেজ থেকে প্রচুর টিএমসিপির কর্মী-সমর্থক যোগ দিতে গিয়েছিলেন। জেলার সবর্ত্র দেখা গিয়েছে বাসের মাথায় দলের পতাকা নিয়ে চলেছেন তাঁরা। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এমন বেআইনি ও বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করলেও তারা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।
রাজ্যে রাজনৈতিক দলের মিটিংয়ে জেলা থেকে লোক নিয়ে যাওয়ার রীতি নতুন নয়। বাসের ছাদে বসে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার উদাহরণও কম নয়। তা সত্ত্বেও কেন এদিন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। হলদিয়ার বিবেকানন্দ মিশন কলেজ সূত্রে দাবি, এ দিন দুটি বাসে মোট ১৮০ জন পড়ুয়া গিয়েছিলেন। যাঁরা বাসের ভিতর আসন পাননি, তাঁরা বাসের ছাদে চড়ে বসেন। ঝুঁকি আছ জেনেও কেন তা করা হল সেই প্রশ্ন শুনে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র নায়কের দাবি, ‘‘এত ছাত্র আসবে, তা বুঝতে পারিনি। তবে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই বাসের ভিতরে ছিলেন। কয়েকজন মাত্র ছাদে বসেছিলেন।’’
হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাদবোঝাই বাসের কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাই কিছু বলা অসম্ভব।’’ এবিষয়ে জেলা টিএমসিপি র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।