বিদ্যাসাগরে নিরঙ্কুশ টিএমসিপি

ছাত্র সংসদ দখল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মনোনয়ন পর্বেই। শেষমেশ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটে বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারল না। বিরোধী শূন্য অবস্থায় ছাত্র সংসদের দখল নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫০
Share:

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জয়োল্লাস টিএমসিপি কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।

ছাত্র সংসদ দখল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মনোনয়ন পর্বেই। শেষমেশ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটে বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারল না। বিরোধী শূন্য অবস্থায় ছাত্র সংসদের দখল নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

Advertisement

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের আসন সংখ্যা ১৩৭টি। এর মধ্যে ১৩০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল টিএমসিপি। শুক্রবার মোটে ৭টি আসনে ভোট হয়। ৭টিতেই টিএমসিপির প্রতিপক্ষ ছিল শুধু ডিএসও। সব ক’টি আসনেই জয়ী হয়েছে টিএমসিপি। ডিএসও নেতা রাকিবুল হাসানের অভিযোগ, “ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নামে চূড়ান্ত প্রহসন হয়েছে। এদিনও আমাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও শাসিয়েছে টিএমসিপির ছেলেরা।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, এ দিন ভোটদানের হার খুব ভাল ছিল না। মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে। তাতেই জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়।

সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে টিএমসিপি। সংগঠনের নেতা স্বদেশ সরকার বলেন, “একেবারে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। খাতা খুলতে না-পেরে ডিএসও মিথ্যা অভিযোগ করছে।” গতবার অবশ্য বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ বিরোধীশূন্য ছিল না। গতবার ২৯টি আসনে ভোটাভুটি হয়েছিল। তার মধ্যে এসএফআই পেয়েছিল ১২টি, টিএমসিপি ১১টি এবং ডিএসও ৬টি। এ বার অবশ্য এসএফআই নির্বাচনে প্রার্থীই দেয়নি। সংগঠনের নেতা সৌমিত্র ঘোড়ইয়ের কথায়, “টিএমসিপি এখানে শুরু থেকে গুন্ডামি করেছে। একে নির্বাচন বলে না।’’

Advertisement

এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের যে ৬টি কলেজে ভোটাভুটি হয়েছে, সেখানেও পাল্লা ভারী টিএমসিপি-রই। দাসপুরের চাঁইপাট কলেজ ছাড়া সর্বত্রই জিতেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। তবে খড়্গপুর কলেজে দাঁত ফুটিয়েছে বিরোধীরা। এখানে ৬৬টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে লড়ে এসএফআই পেয়েছে ৭টি আসন, আর ডিএসও ২৪টিতে প্রার্থী দিয়ে জিতেছে ৮টি আসনে। সবং কলেজে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিরোধের জেরে ৩৪টি আসনের মধ্যে ৩৩টিতে এ দিন ভোটাভুটি হয়। সবগুলিতেই জিতেছে সদ্য ছাত্র পরিষদ ছেড়ে টিএমসিপি-তে আসা কর্মীরা। এঁরা সকলেই মানস ভুঁইয়ার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। মানস-অনুগামী নেতা আবু কালাম বক্স বলেন, ‘‘এই কলেজ আগে ছাত্র পরিষদের দখলে ছিল। পরে তারা সকলেই টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছে। তাই ফল যাওয়ার তাই হয়েছে।’’

কেশিয়াড়ি কলেজের ছাত্র নির্বাচনেও ছিল তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছবি। ভোটের ফলে এখানে পাল্লা ভারী তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগগদীশ দাসের অনুগামীদের। ৯টি-র মধ্যে ৬টিতে জিতেছে তারা। ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে এ দিন ৩টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে টিএমসিপি-র জেলা নেতা সৌমেন আচার্যের গোষ্ঠীর প্রার্থীরা ২টিতে এবং ঝাড়গ্রাম শহর টিএমসিপি আর্য ঘোষ গোষ্ঠীর প্রার্থীরা একটি আসনে জিতেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন