টাউন থানা এলাকার এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেল। দুর্ভোগ শহরের বাসিন্দাদের। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
রেলের খাতায় জীর্ণ শতাব্দী প্রাচীন রেলসেতু। বিপদ এড়াতে খড়্গপুর ও গিরিময়দান স্টেশনের মাঝে টাউন থানা সংলগ্ন এই সেতু বন্ধ করে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় চার মাস ধরে সেতুটি বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রেলশহরের বাসিন্দারা। পুজোর সময় এই সেতু বন্ধ থাকলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে রেলের আশঙ্কা।
রেলের এই সেতুর একদিকে রয়েছে খরিদা, সুভাষপল্লি, ইন্দা, মালঞ্চ, ভবানীপুর, গোলবাজার এলাকা। অন্য দিকে রয়েছে টাউন থানা, রেল কারখানা, রেল হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, আইআইটি। এই সেতু ছাড়া ওই সমস্ত এলাকায় পৌঁছতে গিরিময়দানের কাছে অরোরা গেট বা খরিদা গেট পেরোতে হয়। এ ছাড়াও রয়েছে গোলবাজার রেল সেতু। কিন্তু সেতু বন্ধ থাকায় ঘুরপথে পৌঁছতে হচ্ছে ওই সমস্ত এলাকায়। তার ওপরে রেলগেট বন্ধ থাকলে যানজটে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের।
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ভাবে কোনও সেতু নির্মাণ না করে হঠাৎ করে রেল সেতু বন্ধ করে শহরবাসীকে বিপাকে ফেলেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী ওই সেতু মেরামতের কোনও ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে পুজোর সময় শহরের এই দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ অচল হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে শহরবাসী। শহরের খরিদার বাসিন্দা নারায়ণ দাস বলেন, “রেল কোনও কাজ করছে না। সেতু বিপজ্জনক হতেই পারে। কিন্তু এ ভাবে বিকল্প ব্যবস্থা না করে টাউন থানার কাছে সেতুটি রেল বন্ধ করে দেওয়ায় গত কয়েকমাস ধরে ভোগান্তি হচ্ছে। পুজোর সময় ওই সেতু বন্ধ থাকলে তো দুর্ভোগ আরও বাড়বে।”
শহরের সুভাষপল্লির ভাড়া গাড়ির মালিক লক্ষ্মণ রায় বলেন, “যাঁরা গাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা তো বেশি টাকা দেবেন না। কিন্তু আমাদের ঘুরপথে যাতায়াতে পেট্রোল বেশি লাগছে। পুজোর সময় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় গেলে খরিদা ও অরোরা রেলগেটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।”
এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শহরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই তিনি বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষে জানিয়েছেন। খড়্গপুরে রেলের জন-সংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “সেতুটি বিপজ্জনক রয়েছে বলেই বন্ধ করা হয়েছে। পুজোর সময় ওই সেতু মোটর সাইকেলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা নতুন সেতুর জন্য পরিকল্পনা করছি।”