প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি সবং থেকে কলকাতা আরও বাস চালুর কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। গ্রীষ্মে বাতানুকূল বাস চালুরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও সবং যে মহকুমায় অবস্থিত তার সদর শহর খড়্গপুর থেকেই কলকাতা যাওয়ার বাস নেই। এখনও খড়্গপুর থেকে কলকাতায় যেতে ট্রেনই ভরসা।
আগে খড়্গপুর স্টেশনের দক্ষিণ দিকের বোগদা এলাকায় অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছিল। আটের দশকের শেষ দিকে বোগদা থেকে খড়্গপুর স্টেশনের উত্তরদিকে রেলের আবর্জনা ফেলার ময়দানে বাসস্ট্যান্ড সরানো হয়। এটিই খড়্গপুরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে দিঘা, হলদিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, রসুলপুর, ভসরাঘাট-সহ ওডিশার বিভিন্ন রুটের প্রায় ৩০০টি বাস রোজ যাতায়াত করে। তবে খড়্গপুর থেকে সরাসরি কলকাতা যাওয়ার বাস নেই।
আগে সরাসরি কলকাতা যাওয়ার বাস ছিল। বছর আটেক আগে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেই বাস চালুর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ শহরের বাসিন্দাদের। কলকাতা যেতে ট্রেন ছাড়া উপায় নেই। ট্রেনে উঠলেও সাঁতরাগাছি বা হাওড়া স্টেশনে নেমে ফের বাস বা ট্যাক্সিতে কলকাতায় যেতে হয়। বাসিন্দাদের মতে, সরাসরি কলকাতায় যাওয়ার বাস থাকলে সেই ঝক্কি এড়ানো যাবে।
ওয়ালিপুরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক নিখিল পড়িয়া বলছিলেন, “কলকাতা যাব বলে চৌরঙ্গী থেকে বাসস্ট্যান্ডে এলাম। কিন্তু বাস না ট্রেনে হাওড়া যেতে হবে। কলকাতার সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ থাকা খুব প্রয়োজন।” বাসস্ট্যান্ডের হালও তথৈবচ। যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে শৌচাগার-নেই কিছুই। পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, বাতিস্তম্ভ থাকলেও অধিকাংশ দিন আলো জ্বলে না। ফলে বাসস্ট্যান্ডে অন্ধকারে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন যাত্রীরা।