চিকিৎসাধীন জয়দেব বর্মন।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস চলাকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে এক তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সাহাড়া বুড়ারি বিরজাবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোলাঘাট পুলিশ। ধৃত কুতুব খান, আজিম খান, ইব্রাহিম খান স্থানীয় এলাকারই বাসিন্দা।
আহত প্রাথমিক শিক্ষক তথা ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি জয়দেব বর্মণকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জয়দেববাবুর উপর আক্রমণে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি তুলে বুড়ারি বাজারে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিভাবকরা ও কাঁকটিয়া বাজারের কাছে তৃণমূল সমর্থকরা হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে অবস্থিত শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও অফিসের এক কিলোমিটার দূরে সাহাড়া বুড়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক জয়দেব বর্মণ তৃণমূলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে রয়েছেন। বুধবার বেলা সোয়া ১২ টা নাগাদ জয়দেববাবু ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার সময় আচমকা জনা দশেক যুবক তাঁকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা বাধা দিতে এলে তাঁদেরও ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে জয়দেববাবুকে উদ্ধার করে। জয়দেববাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই যুবকরা আমার উপর চড়াও হয়ে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।’’ তবে দলীয় নেতার উপর এমন আক্রমণের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তমলুকের সাংসদ শিশির অধিকারী।