এতদিন পুলিশ তার খোঁজ পায়নি। কিন্তু ভোটের পরেই ‘ফেরার’ তৃণমূলের যুবনেতা ধরা দিলেন থানায়। বুধবার রাতে গড়বেতা থানায় আত্মসমর্পণ করলেন চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর বুথ তৃণমূলের যুবনেতা সিদ্ধার্থ অধিকারী।
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া তৃণমূলের যুব নেতা সিদ্ধার্থ ওরফে বাবুয়ার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা চলছে। গণপিটুনিতে আহত ওই সিদ্ধার্থ ১৯ এপ্রিল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিশি প্রহরা এড়িয়ে পালিয়ে যান।
সিদ্ধার্থ অধিকারী চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুরে গাজন মেলায় বচসার জেরে এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি চালান। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরের দিন ওই নেতার বাড়ির কাছেই একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু তাজা বোমা। সূত্রের খবর তার মধ্যে ল্যান্ডমাইন জাতীয় বিস্ফোরকও ছিল। বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় সরাসরি বাবুয়ার নাম না জড়ালেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি চন্দ্রকোনায় পুরভোটের দায়িত্বে থাকা ওই নেতাই অস্ত্র জড়ো করেছিলেন। কিন্তু সিদ্ধার্থকে গ্রেফতার করলেও ভোটের সময় তাঁকে হেফাজতে রাখতে পারেনি পুলিশ। ।
জানা গিয়েছে বুধবার রাতে গড়বেতা আদালতের সরকারি আইনজীবী অরিন্দম সিংহরায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিদ্ধার্থ। পরে আইনজীবীর নির্দেশ মতো গড়বেতা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই রাতেই অভিযুক্তকে চন্দ্রকোনা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘাটাল হাসপাতাল থেকে সোজা চলে যায় ওড়িশায় চলে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গুরুপদ দত্তের অভিযোগ, ‘‘পুলিশই শাসকদলের নেতাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিল। ভোট মিটতে তাকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশই।’’
শ্রমিক সমাবেশ। মে দিবস উপলক্ষ্য শ্রমিক সমাবেশের ডাক দিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। আজ, শুক্রবার বিকেলে দুর্গাচকের মঞ্জুশ্রী মোড়ে ওই সমাবেশের আয়োজিত হবে। হলদিয়ার আইএনটিটিইউসি নেতা মিলন মণ্ডল জানান, সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ‘হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ’-এর চেয়ারম্যান তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন প্রমুখ।