ভোট আর নববর্ষে হিমশিম

ফ্লেক্স, ফেস্টুনে ভোটের প্রচার আগে মূলত কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাতেই হত। এখন মফস্সল তো বটেই, প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জেও এর চল শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

ব্যস্ত: কম্পিউটারে দেখে নেওয়া ডিজাইন। নিজস্ব চিত্র

ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই শুরু হয়ে যায় প্রচারের তোড়জোড়। আগে দেওয়াল লিখন আর বাড়ি বাড়ি জনসংযোগই ছিল প্রচারের মূল মাধ্যম। এখন ভোটের প্রচারে ফ্লেক্স, ফেস্টুনের দাপট। সঙ্গে দলীয় প্রতীক আঁকা পতাকা-টুপিও রয়েছে।

Advertisement

এ বার অবশ্য পঞ্চায়েত ভোটের মরসুমেই পড়েছে বাংলা নববর্ষ। ফলে, নতুন ক্যালেন্ডার, শুভেচ্ছা কার্ডের সঙ্গেই চলছে ভোটের ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছাপা। বরাত অনুযায়ী সব সরবরাহ করতে একেবারে হিমশিম খাচ্ছেন ছাপাখানার কর্মীরা।

ফ্লেক্স, ফেস্টুনে ভোটের প্রচার আগে মূলত কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাতেই হত। এখন মফস্সল তো বটেই, প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জেও এর চল শুরু হয়েছে। ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলছিলেন, ‘‘পতাকা চলে এসেছে। এ বার প্রার্থীদের নাম-সহ ফ্লেক্স আর ফেস্টুন ছাপতে দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রতন দত্ত-ও জানালেন, ঘাটালের সব ছাপাখানাতেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থীর প্রচারেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন ব্যবহার করা হবে।

Advertisement

ঘাটাল মহকুমায় মোট ৪৮টি পঞ্চায়েত, পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি। মোট বুথের সংখ্যা ৮৫৪। নির্ঘন্ট ঘোষণার পরই প্রতি বুথেই দলগুলি পতাকা টাঙিয়ে শুরু করেছে প্রচার। সামনের বছরই আবার লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেই প্রচারে নামছে শাসক তৃণমূল থেকে বিরোধী বাম-বিজেপি, সব পক্ষই। পাল্লা দিয়ে কদর বাড়ছে ফ্লেক্স-ফেস্টুনের। ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার ১০-১২টি ছাপাখানায় এখন প্রচণ্ড ব্যস্ততা। ছাপাখানাগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তৃণমূল আর বিজেপিরই বেশি কাজের বরাত আসছে। পিছিয়ে নেই বাম এবং নির্দল প্রার্থীরাও।

সমান্তরাল ভাবে চলছে বাংলা নববর্ষের কার্ড ও ক্যালেন্ডার ছাপাও। কাজের বহর দেখে দিনরাত এক করে কাজ করছেন ছাপাখানার কর্মীরা। বরাত নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে তা পৌঁছে দিতে বাড়তি লোকও নিচ্ছেন ছাপাখানার মালিকেরা। এতে ব্যবসা যেমন বাড়ছে, তেমনই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে অনেক কাজের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। কেউ কম্পিউটারে ডিজাইন করছেন, তো কেউ ছাপার কাজে ব্যাস্ত। ঘাটালের ফ্লেক্স ব্যবসায়ী অরুণ মাঝি, তারক মাইতিরা মানছেন, ‘‘নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরির চাপও রয়েছেছ। সঙ্গে ভোটের নানা ছাপা। দিনরাত কাজ হচ্ছে। বাড়তি লোক নিয়েও সামলাতে পারছি না।’’ আর এক ছাপাখানার মালিক গৌর পালের কথায়, “সব দলই অর্ডার দিয়েছে। গভীর রাতেও কাজ হচ্ছে। বিরাম নেই মেশিনের। আমরাও বিশ্রাম ভুলতে বসেছি।’’

সব মিলিয়ে ভোট আর নববর্ষের জোড়া কাজে ছাপাখানা এখন সরগরম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন