বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে তেতে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছাত্র-রাজনীতি। বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ‘হামলা’ চালিয়েছে টিএমসিপি। লাঠিচার্জ করেছে পুলিশও। অভিযোগ মানেনি পুলিশ। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপিও।
মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুরে ধিক্কার মিছিল করে এসএফআই। ২৯ জানুয়ারি জেলাশাসকের দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে তারা। প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ডিএসও-সহ কয়েকটি সংগঠন। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদির অভিযোগ, ‘‘রাতের অন্ধকারে পুলিশ দিয়ে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের উপরে হামলা হয়েছে।’’
স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সাধারণত মার্চের আগে হয় না। কিন্তু এ বার বিশ্ববিদ্যালয় যে পরীক্ষাসূচি অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা এগিয়ে আসায় ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হন। পরিস্থিতি দেখে পরীক্ষাসূচি প্রত্যাহার করেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ওই সূচি খসড়া ছিল। কিন্তু তাতে ক্ষোভ মেটেনি।
সোমবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ- অবস্থান করেছিলেন বিভিন্ন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা। টিএমসিপির দাবি, এই কর্মসূচির পিছনে এসএফআই, ডিএসও-র মদত ছিল। যদিও বিক্ষোভে কোনও পতাকা ছিল না। তবে টিএমসিপি ও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে টিএমসিপি কেন বাধা দেবে, সেই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। জেলা তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, সোমবার রাতেই টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে তলব করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। সৌরভের কাছে অজিত সব জানতে চান। অজিতের সঙ্গে ছিলেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী উত্তরা সিংহ, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। সৌরভ যুক্তি দেন, টিএমসিপির ছেলেরা শুরুতে ঝামেলায় যায়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সোমবার সকালেই কেন দলকে জানানো হয়নি সেই নিয়ে তাঁকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। সৌরভের অবশ্য দাবি, ‘‘এসএফআই ও ডিএসও ইচ্ছেকৃত ভাবেই গোলমাল করেছে। গেটে লাগানো আমাদের ব্যানার ছিঁড়ে দেয় তারা।’’