ক্যাম্পাসে কুকুরের নির্বীজকরণ

ক্যাম্পাসে থাকা কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিটের উদ্যোগে রবিবার ক্যাম্পাসের কুকুরগুলির একাংশের অস্ত্রোপচার হয়। সেই সঙ্গে কুকুরগুলিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। রোগ প্রতিরোধে দেওয়া হয় টিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০২:১২
Share:

যত্নে: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা কুকুরদের চিকিৎসা চলছে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

ক্যাম্পাসে থাকা কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিটের উদ্যোগে রবিবার ক্যাম্পাসের কুকুরগুলির একাংশের অস্ত্রোপচার হয়। সেই সঙ্গে কুকুরগুলিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। রোগ প্রতিরোধে দেওয়া হয় টিকা। এর ফলে, ওই কুকুর কামড়ালে বড় ধরনের বিপদ আর হবে না।

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৭০টি কুকুর রয়েছে। তার মধ্যে ২০টি কুকুরের এ দিন নির্বীজকরণও করা হয়েছে। এর ফলে, কুকুরদের অনিয়ন্ত্রিত জন্ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন পশু চিকিত্সকেরা। ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “আগেও আমরা এমন কর্মসূচি করেছি। আগামী দিনেও করবো।’’ এ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। পশুপ্রেমী হিসেবেই গিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুর থাকেই। হস্টেল, ক্যান্টিন-সহ গোটা চত্বর দাপিয়ে বেড়ায় তারা। তবে এই সব কুকুরের অনেকগুলিই রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের থেকে ক্যাম্পাসে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। পরিস্থিতি দেখেই ক্যাম্পাসের কুকুরদের নীরোগ রাখতে উদ্যোগী হন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য রঞ্জনবাবু এ দিন বলছিলেন, “আমরা সকলে যাতে নিরাপদে থাকি, সে জন্যই আরও বেশি করে পশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা জরুরি। আমাদের সকলকে পশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।”

Advertisement

বিস্কুট, মিষ্টির মধ্যে মিশিয়ে এ দিন কুকুরদের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কুকুর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কারও গায়ে ঘা হয়েছে, কারও লোম উঠে লালচে দাগ পড়েছে। কুকুরগুলোর স্বাস্থ্যও ভাল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের মতে, এমন কর্মসূচির ফলে কুকুরগুলোর স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলছিলেন, “এ দিন যে কুকুরগুলোকে ওষুধ, ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তার রোগমুক্ত থাকবে। ফলে, সংক্রমণের সুযোগ থাকবে না।’’

এ দিন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিটের সদস্য পড়ুয়ারাও হাজির ছিলেন। তাঁরা তুমুল আগ্রহে কুকুরগুলির চিকিৎসা ও পরিচর্যার কাজে হাত লাগান। উপাচার্য রঞ্জনবাবু মানছেন, “তরুণ প্রজন্ম প্রকৃতি, পশুদের ভালবাসতে শিখছে। এটা ভাল দিক। এমন কর্মসূচির ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও চেতনা বাড়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন