দোকানে পড়ে আছে দাঁড়িপাল্লা। নিজস্ব চিত্র
মাছের আড়তের সামনে চলে মাছের খুচরো বিক্রিবাটা। সেখানেই সমুদ্রের রুপোলি শস্য ইলিশের বিক্রিতে লোক ঠকানোর অভিযোগ উঠল।
হলদিয়ার মেরিন ড্রাইভের মাছের আড়তের কাছে আগেও গ্রাহকদের ঠাকানোর অভিযোগ জমা পড়েছিল পুরসভা এবং মাছ ব্যবসায়ী সমিতির কাছে। হলদিয়ার সব বাজারের ইলেকটনিক্স দাঁড়িপাল্লা থাকলেও ওই এলাকায় পুরনো দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, ওই দাঁড়ি পাল্লায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের ঠকাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে মেরিন ড্রাইভে ভাঙা ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় বাজারের অন্য একটি দোকানে গিয়ে ওই মাছ ওজন করেন ওই ব্যক্তি। দেখা যায়, সেটির ওজন ৭০০ গ্রাম। পরে ওই ব্যক্তি বাজার কমিটির কাছে অভিযোগ জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, ওই বিক্রেতাকে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু তাতেও সে শোধরায়নি। স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি বাবুলাল সিংহ এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করব। বাজারের সুনাম নষ্ট করার জন্য ওকে বাজার থেকে বরখাস্ত করা হবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা বর্ণালী ঘোষের কথায়, ‘‘হামেশাই হলদি নদীর তীরে মাছ কিনে ফিরি। বহুবার বাড়ি এসে দেখেছি তা ওজনে কম। ফিরে গিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পেতাম না।’’
মাছের ওজনে ঠকানো প্রসঙ্গে, হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘আগে হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারে ও দুর্গাচকে দু’টি আধুনিক দাঁড়িপাল্লা রাখা ছিল। গ্রাহকের সন্দেহ হলেই তাতে মাপা হত। এখন সেগুলি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পুরনো দাঁড়ি পাল্লা পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। অবিলম্বে পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট দফতর অভিযান চালাবে।’’
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আজিজুল রহমান এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘গ্রাহককে ঠকানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে পুরসভা থেকে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হবে।’’