থানার বাগানেই ফলছে মিড-ডে মিলের আনাজ

মিড-ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে নিয়ে হামেশাই ক্ষোভের চিত্র সামনে আসে। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা টাকা যে যথেষ্ট নয়, সেই অভিযোগও উঠে।

Advertisement

কেশব মান্না

মহিষাদল শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৪২
Share:

পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আনাজ বাগান। মহিষাদলের গড় কমলপুরে। নিজস্ব চিত্র

মিড-ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে নিয়ে হামেশাই ক্ষোভের চিত্র সামনে আসে। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা টাকা যে যথেষ্ট নয়, সেই অভিযোগও উঠে। তাই খুদে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে মিড-ডে মিলকে ‘উৎকৃষ্ট’ এবং ‘লোভনীয়’ করতে উদ্যোগী এবার হল মহিষাদলের গড় কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একাধিক স্কুল, কলেজের হস্টেল এবং থানায় আনাজ চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের চাষ করা সেই আনাজের সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, স্কুল এবং হস্টেলের মিড-ডে মিলে আর্থিক ভাবে পাশে থাকার জন্য গড় কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মহিষাদল থানা, গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুল, রাজ হাইস্কুল, কাঞ্চনপুর মিলন হাইস্কুল, রাজ কলেজের ছাত্রাবাসে এবং মহিষাদলে শিশু উদ্যানের আনাজ চাষ করছে। সেগুলি পরিচর্যার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়োগ করা হয়েছে। ছ’টি প্রকল্পের জন্য গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে তারা।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রতিটি আনাজ বাগান, শাক লাগানো এবং পরিচর্যার জন্য ১৬৪ দিন করে শ্রম দিবস ধার্য করা হয়েছে। ওই খাতে ৩১ হাজার ৫২৪ টাকা এবং বেড়া দেওয়া-সহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করা হবে। সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে মজবুত বেড়াও দেওয়া হয়েছে বাগানের পাশে। সবক’টি প্রকল্প দেখাশোনোর জন্য একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। যারা সাম্মানিক হিসাবে দু’হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

Advertisement

মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা গিরি বাগের কথায়, ‘‘স্কুলে এত পড়ুয়ার মিড ডে মিল চালানো খুব দায় হয়ে যায়। মেনুতে মাছ-মাংসর মত ভাল কিছু দেওয়া সম্ভব হয় না। পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়ে আনাজ বাগান করে দেওয়ায় কিছুটা উপকার হচ্ছে।’’ মহিষাদল থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীতকালের আনাজ এবং শাক ইতিমধ্যেই হতে শুরু করেছে। ফলে পরিকল্পনা সফল হচ্ছে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়ক স্নেহাশিস রায় এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজ মানে অনেকে মনে করেন মাটির সঙ্গে জড়িত কোনও প্রকল্প। কিন্তু মাটি কাটা, পুকুর খনন ছাড়াও যে এ সব কাজও এই প্রকল্পে হয়। সেটাই আমরা হাতেকলমে করে দেখালাম।’’ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের আশা, এই আনাজ বাগানের মাধ্যমে একদিকে যেমন শ্রম দিবস বাড়ানো যাবে, তেমনই মিড-ডে মিলের আর্থিক দিকটিও লাভবান হবে।

গড় কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপকুমার জানা বলেন, ‘‘পড়ুয়া এবং পুলিশকর্মীদের মধ্যাহ্নভোজে যাতে ভাল উপাদান তুলে দিতে অসুবিধে না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়াতে এই পদক্ষেপ। এতে ভাল সাড়া মিলেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন