ঘুরিয়ে সতর্কবার্তা অধ্যক্ষকেই

ক্যাম্পাসে শিক্ষিকা হেনস্থার ঘটনায় ঘুরপথে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়াকে সতর্ক করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্‌জিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৮
Share:

ক্যাম্পাসে শিক্ষিকা হেনস্থার ঘটনায় ঘুরপথে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়াকে সতর্ক করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্‌জিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট কেশপুর কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তা কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা করার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে অধ্যক্ষকেই উদ্যোগী হতে বলা হবে। এগ্‌জিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেশপুর কলেজে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে অধ্যক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে।” দীপকবাবুকে কি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে? রঞ্জনবাবুর জবাব, “কলেজে শৃঙ্খলারক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর কথা ওঁকে জানানো হচ্ছে।’’

Advertisement

সুপর্ণাদেবী যাতে ফের নির্ভয়ে কলেজে যেতে পারেন, অধ্যক্ষকে সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়ে দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। সুপর্ণাদেবীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কলেজে সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকাটাই কাম্য। নিরাপত্তার বিষয়টিও জরুরি।’’ এখনও পর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক চলে। আলোচ্যসূচিতে বেশ কয়েকটি বিষয় ছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কেশপুর কলেজে শিক্ষিকা নিগ্রহের ঘটনা। উপাচার্য রঞ্জনবাবুর পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী, কলেজসমূহের পরিদর্শক অভিজিৎ রায়চৌধুরী প্রমুখ।

Advertisement

জুলাইয়ের শেষে কেশপুর কলেজে হেনস্থার শিকার হন রসায়নের শিক্ষিকা সুপর্ণা সাধু। অসুস্থতার জন্য কলেজে না আসায় ওয়েবকুপা-র সদস্য ওই শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মানস ঘোষ এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে। সুপর্ণাদেবীর আরও অভিযোগ ছিল, হেনস্থার ঘটনায় অধ্যক্ষেরও মদত রয়েছে।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহের পরিদর্শক অভিজিৎ রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, তদন্ত রিপোর্টে ঘটনার জন্য পরোক্ষে অধ্যক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, অধ্যক্ষ চাইলে ওই ঘটনা ঠেকাতে পারতেন। বৈঠক শেষে এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের এক সদস্য বলেন, “রিপোর্টে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অধ্যক্ষ আগেভাগে সতর্ক হলে এই ঘটনা ঠেকানো যেত।’’

যদিও এ দিন দীপকবাবু বলেন, “এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে বা সিদ্ধান্ত হয়েছে জানি না। কলেজের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় যা পরামর্শ দেবে, সবই মানা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন