স্টেশনে তালাবন্ধ যাত্রী প্রতীক্ষালয়

দরপত্র ডাকলেও আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থা। বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে খড়্গপুর স্টেশনের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়। দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের জন্য খড়্গপুর স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পৃথক দু’টি প্রতীক্ষালয় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

বন্ধ। তালা ঝুলছে প্রতীক্ষালয়ে। নিজস্ব চিত্র

দরপত্র ডাকলেও আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থা। বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে খড়্গপুর স্টেশনের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়।

Advertisement

দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের জন্য খড়্গপুর স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পৃথক দু’টি প্রতীক্ষালয় রয়েছে। বিনামূল্যেই এই দু’টি প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করতে পারেন যাত্রীরা। পরে ট্রেন যাত্রীদের জন্য ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মেই ৩৫ আসন বিশিষ্ট আরও একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছে। নতুন এই প্রতীক্ষালয়ে সংবাদপত্র, খাবারের কাউন্টার-সহ যাত্রীদের জন্য নানা সুবিধা থাকবে। ঠিক হয়, ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ এই প্রতীক্ষালয়টি ব্যবহারের জন্য যাত্রীপিছু ১৫ টাকা দিতে হবে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর এই প্রতীক্ষালয় পরিচালনার জন্য ৫১ লক্ষ ৭০ হাজার ২৯৬ টাকা চেয়ে গত ১৯ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয় রেল। সেই দরপত্র খোলার দিন ছিল গত ১৯ ডিসেম্বর। কিন্তু দেখা যায় কেউ ওই প্রতীক্ষালয়ের বরাত নিতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

Advertisement

বরাত নেওয়া নিয়ে কেউ আগ্রহ না দেখানোয় ফের এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় নিয়ে সমীক্ষা করছে রেল। সমীক্ষা শেষে দাম নির্ধারণ করে পুনরায় রেল দরপত্র ডাকবে। খড়্গপুরের এডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান বলেন, “এই প্রতীক্ষালয় আমরা চালু করতে চাইছি। দরপত্র ডাকা হলেও প্রতীক্ষালয়ের বরাত নিতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি। আমরা বিষয়টি দেখছি।”

রেলের সমীক্ষকদের ধারণা, ইতিমধ্যেই খড়্গপুর স্টেশনে দু’টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে আরও একটি প্রতীক্ষালয়। তাই তৃতীয় প্রতীক্ষালয়ে যাত্রীরা আসবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত কেউ দরপত্রে সাড়া দেননি।

বিহারের পটনার বাসিন্দা খড়্গপুর আইআইটি’র ছাত্রী সুপ্রিয়া কুমারী বলেন, “যে প্রতীক্ষালয় আছে তাতেই আমাদের চলে যায়। তাই প্রতীক্ষালয়ে বিশ্রামের জন্য টাকা খরচ কেন করব?” যদিও রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “দরপত্র ডাকলেও কেউ আগ্রহ না দেখানোয় ওই প্রতীক্ষালয় চালু করতে পারছি না। আমরা আবারও দরপত্র ডাকব। দেখা যাক কী হয়!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন