ফাটলের অংশ। নিজস্ব চিত্র।
দুপুর সোয়া একটা নাগাদ হঠাৎ একটা বিকট শব্দে চমকে ওঠেন এগরা-১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অনেকেই। দেখা যায়, ভবনের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্বের দেওয়ালে দেখা গিয়েছে ফাটল। ভবনের একাংশ মাটিতে বসে গিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে দোতলা ভবনের বাইরে নেমে পালিয়ে আসেন আধিকারিক থেকে কর্মীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর দিঘা থেকে এই ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গত ৪ মার্চ নির্বাচন ঘোষণার দিন তড়িঘড়ি এই ভবনে দফতরের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে এসেছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও এগরার বিদায়ী বিধায়ক সমরেশ দাস। সেদিন তাঁরা এই ভবনের কাজ করা নিয়ে সরকারের কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভবন তৈরি করতে ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কাজ করেছিল পূর্ত দফতরের (দিঘা) সামাজিক বিভাগ। এগরা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিয়া মৌজায় অবস্থান ওই নবনির্মিত ভবনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি ল-ক্লার্কদের অভিযোগ, জলা জমির ওপরেই যথেষ্ট সময় ও গুরুত্ব না দিয়ে ওই নির্মাণ কাজ করা হয়েছিল। ল-ক্লার্ক শেখ সিকান্দার, কেদারচন্দ্র দাস, কার্তিকচন্দ্র প্রধানরা বলেন, “ভবনের ভিত তো ভালো করে দেওয়াই হয়নি, দেওয়া হয়নি ঢালাই পিলারও। সরকারের এতগুলি টাকা জলে দেওয়ার অর্থ কী?”বৃ হস্পতিবার থেকে দফতরের কর্মীরা ওই ভবনে বসে কাজ করতে চাইছেন না আতঙ্কে। খোদ রাজস্ব আধিকারিক প্রদীপ কুমার মাইতি বলেন, “আতঙ্কিত তো বটেই। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। ঊর্দ্ধ্বতন আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি।
ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে ডিএসপি দলের নেতা তথা এগরা কেন্দ্রের প্রার্থী মামুদ হোসেন বলেন, “অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। ঠিকাদার এবং সরকারি কর্তৃপক্ষ এক হয়ে গেলে যা পরিণতি হয়, তাই হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।” জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনে তদন্ত করা হবে।”