ঝাড়গ্রামে একশো কোটির জল প্রকল্প

নতুন জেলার সদরশহরে পানীয় জলের ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম শহরের বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য একশো কোটি টাকা খরচ করে একটি পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলা হবে।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০০
Share:

নতুন জেলার সদরশহরে পানীয় জলের ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম শহরের বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য একশো কোটি টাকা খরচ করে একটি পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পে লালগড় ব্লকের বৈতা এলাকায় কংসাবতী নদীর জল তুলে পরিস্রুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অরণ্যশহরের সরবরাহ করা হবে।

Advertisement

প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের পুর বিষয়ক দফতর ঝাড়গ্রাম পুরসভাকে ৯ কোটি টাকা দিয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি টাকা। তবে সম্পূর্ণ প্রকল্পটি গড়তে প্রায় একশো কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করছে পুর-কর্তৃপক্ষ। দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষের ব্যাপারে পুরসভা আশাবাদী।

পুরসভা সূত্রের খবর, অরণ্যশহরে দৈনিক জলের চাহিদা ৬ লক্ষ গ্যালন। অথচ প্রতিদিন শহরে সাড়ে তিন লক্ষ গ্যালন জলের ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য পুর-কারিগরি দফতরের সহযোগিতায় এ বার বড় মাপের জল প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে।

Advertisement

এই প্রকল্পে শহরের প্রায় সাত কিমি দূরে লালগড় ব্লকের বৈতা অঞ্চলের যশপুর এলাকায় কংসাবতী নদী থেকে জল সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেই জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে গিয়ে শোধন করা হবে। শহরের বিসিকেভি এলাকায় তৈরি করা হবে পরিশোধন কেন্দ্রটি। এরপর পরিস্রুত জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে সব ক’টি ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। এ জন্য ২১ বর্গ কিমি আয়তনের অরণ্যশহরে মাটি খঁুড়ে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হবে। জলের তিনটি বড় রিজার্ভারও তৈরি করা হবে।

১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঝাড়গ্রাম শহরে প্রায় নব্বই হাজার মানুষের বাস। পরিবারের সংখ্যা ১৮ হাজার। শহরে দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো দিয়ে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডিপ টিউবওয়েল ও মিনি ডিপ টিউবওয়েলের জল পাম্পে তুলে রাস্তার ধারে প্রায় ১,৩০০ টাইম কলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

পুরসভা সূত্রের খবর, দৈনিক মাত্র মাত্র আড়াই লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়। জল সরবরাহ নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে পুরবাসীর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জলের অপচয় রোখা যায় না। গরম পড়লে অনেক জায়গায় জলস্তর নেমে যায়। তখন কিছু টাইম কলে নোংরা ঘোলা জল বেরোয় বলে অভিযোগ।

ঝাড়গ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে যাওয়ায় আগামীদিনে অরণ্যশহরের জনসংখ্যা আরও বাড়বে। সেজন্য আড়াই লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণের ক্ষমতা সম্পন্ন জল প্রকল্পটি রূপায়িত করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন