রাজ্য মহিলা কমিশনের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বুধবার ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগার পরিদর্শন করলেন। সেখানে মহিলা বন্দিদের সার্বিক পরিস্থতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিলেন তাঁরা।
এসেছিলেন কমিশনের সদস্য-সচিব মারিয়া ফার্নান্ডেজ এবং দুই সদস্য দীপান্বিতা হাজারি ও শ্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জেলাশাসকের সভাঘরে জেলাশাসক আয়েষা রানি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) টি বালসুব্রহ্মণ্যম, জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতোর সঙ্গে মহিলাদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা। পুলিশে কর্মরত মহিলাদের পরিস্থিতি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকলে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে, নারী নিগ্রহ, নারী অপহরণের পরিসংখ্যান ও নানা তথ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন কমিশনের সদস্যরা। মহিলা শ্রমিকদের অবস্থা ও ডাইনি সমস্যা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে মানিকপাড়া নিবেদিতা হোম এবং সেবায়তনের একটি মূক ও বধির কেন্দ্রের প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন। জেলার হোমগুলির সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান কমিশনের সদস্যারা। এলাকায় নারী পাচার সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আছে কি-না সে বিষয়েও জানতে চান মারিয়া ফার্নাণ্ডেজ। মানিকপাড়ার নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরে মেয়েদের হোমটি চলছে সত্তরের দশক থেকে। দু’বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই হোমের সুপার চায়না পালের কাছে এদিন কমিশনের প্রতিনিধিরা আবাসিক বালিকাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান। জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘ মহিলা কমিশনের সদস্যরা জেলায় মহিলাদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিশেষ সংশোধনাগারও পরিদর্শন করেছেন তাঁরা।’’