৭২০ কোটি টাকার বাজেট মেদিনীপুর জেলা পরিষদে।
প্রায় ৭২০ কোটি টাকার বাজেট হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের। সবথেকে গুরুত্ব পেয়েছে জনস্বাস্থ্য। সামনে লোকসভা ভোট। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই জনস্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। পাশাপাশি, নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ফি- র ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। জেলা পরিষদ মনে করছে, নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়লে উন্নয়নমূলক কাজ আরও গতি পাবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সাধারণসভা ছিল বুধবার। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, এটাই ছিল বাজেট সভা। এই সভায় খসড়া বাজেট চূড়ান্ত হয়েছে। ২০১৯- ’২০ অর্থবর্ষের জন্য পরিকল্পনা হয়েছে। গতবারের থেকে অবশ্য বাজেট- বরাদ্দ খানিক কমেছে। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, গতবার অর্থাৎ ২০১৮- ’১৯ অর্থবর্ষে প্রায় ৭৫৪ কোটি টাকার বাজেট হয়েছিল। বুধবারের বাজেট- সভায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌর মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি প্রমুখ। জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, ‘‘বুধবারের সাধারণ সভায় খসড়া বাজেট চূড়ান্ত হয়েছে।’’ সামনে লোকসভা ভোট রয়েছে বলে কী জনস্বাস্থ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হল? জেলা সভাধিপতি বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এই বাজেট একেবারে জনমুখী। জেলা পরিষদের বাজেটে গরিব মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা পরিষদের এ বারের বাজেট নিয়ে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের কটাক্ষ, ‘‘অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন খানের মন্তব্য, ‘‘প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তব না অবাস্তব তা আগামী দিনেই জেলার মানুষ বুঝতে পারবেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, ‘‘অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। আগামী দিনে যে যে কাজ হবে, বাজেটে তারই প্রতিফলন রয়েছে। যেখানে যেমন প্রয়োজন সেখানে তেমনই বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ফি- র ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করে নতুন আয়ের উৎস খোঁজারও চেষ্টা হয়েছে।’’