মেঝেতে রোগী কেন, প্রশ্ন মন্ত্রীর

সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চন্দ্রিমাদেবী হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ড মাস্টার অফিস পরিদর্শন করে পা বাড়ান ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এর দিকে। তখনই তাঁর চোখে পড়ে মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের সামনে বারান্দায় মেঝেতে থাকা রোগীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ০১:৩১
Share:

পরিদর্শনে: হাসপাতালে চন্দ্রিমা।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শন, তাই রূপ বদলে গিয়েছিল জেলা হাসপাতালের। সাফসুতরো হাসপাতাল চত্বর সকাল থেকেই ব্লিচিংয়ের গন্ধ ম ম। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাল কাটল মেঝেতে রোগী দেখে স্বাস্থ্য-প্রতিমন্ত্রীর প্রশ্নে। যদিও পরে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

Advertisement

শুক্রবার তমলুক জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই হাসপাতালের চত্বরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স সরিয়ে তড়িঘড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের নিজস্ব এবং সাংসদ, বিধায়ক এলাকা উন্নয়নের তহবিলের টাকায় কেনা একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। চা-খাবারের অস্থায়ী স্টলও উধাও। ব্লিচিং পাউডারে ঢাকা পড়েছিল নালার নোংরা জল। হাসপাতালের ভিতরে প্রতিটি ওয়ার্ডও ছিল পরিচ্ছন্ন।

সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চন্দ্রিমাদেবী হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ড মাস্টার অফিস পরিদর্শন করে পা বাড়ান ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এর দিকে। তখনই তাঁর চোখে পড়ে মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের সামনে বারান্দায় মেঝেতে থাকা রোগীরা। হাসপাতাল সুপার ও স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘‘রোগীদের মেঝেতে রাখা হয়েছে কেন? বেড না থাকলে ট্রলির ব্যবস্থা করুন।’’

Advertisement

মন্ত্রীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্তারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, জেলা সদর হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণাই সার। এতদিনেও সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। শয্যার অভাবে রোগীদের তাই মেঝেতে রাখতে হয়।’’ তবে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তেমন নেতিবাচক কোনও কথা শোনেননি মন্ত্রী। পরিদর্শনে তিনি সন্তুষ্ট কিনা প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছি। রুটিন পরিদর্শন। সন্তোষ-অসন্তোষের বিষয় এখানে বলার কথা নয়।’’

এ দিন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালও ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। তারপর বৈঠক করেন হলদিয়া ভবনে। ছিলেন সাংসদ দিবেন্দ্যু অধিকারী, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলাশাসক রশ্মি কমল, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল প্রমুখ।

সূত্রের খবর, বৈঠকে নন্দীগ্রাম-সহ জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। পরিকাঠামো তৈরির পরও কেন হাসপাতালগুলি চালু হয়নি তা দেখতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। আলোচনা হয় ব্লাড ব্যাঙ্ক, রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক, নার্সদের ব্যবহার নিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন