বছর দু’য়েক আগে খড়্গপুর শহরে ওয়াই ফাই পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস পুরবোর্ড। যদিও সেই প্রকল্প আর বাস্তবায়িত হয়নি। মাস কয়েক আগে মেদিনীপুর শহরের কিছু অংশে নিখরচায় ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু হয়েছে। এ বার ফের রেলশহরে ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী হল পুরসভা। ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে দরপত্র চাওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে খড়্গপুর আইআইটি চত্বরে নিখরচার ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু হয়েছে। যদিও আইআইটি-র অধ্যাপক, পড়ুয়া ও কর্মীরাই এই ওয়াই ফাই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক হয়েছে, এ বার ইন্দায় খড়্গপুর কলেজের বাইরে, মালঞ্চ রোড ও পুরসভার সামনের রাস্তায় নিখরচায় ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়া হবে। শহরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওয়াই ফাই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছি। বেশ কয়েকটি সংস্থার থেকে দরপত্র চাওয়া হয়েছে।”
শহরে ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু করতে ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে তৎকালীন কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড। প্রাথমিকভাবে পুরভবন থেকে উত্তরে স্টেশন ও পশ্চিমে পুরীগেট পর্যন্ত অংশে ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। যদিও ভোট চলে আসায় তৎকালীন পুরবোর্ড আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। ভোটে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। তারপরে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু নিয়ে এতদিন উদ্যোগী হয়নি পুরসভা।
ওয়াই ফাই পরিষেবার জন্য কেন এই তিনটি এলাকাকে বেছে নেওয়া হল? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মালঞ্চ রোডের দু’ধারে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যঙ্ক রয়েছে। এই এলাকায় ওযাই ফাই পরিষেবা চালু হলে ব্যাঙ্কের বহু গ্রাহক উপকৃত হবে। পুরভবনে নানা কাজে প্রতিদিনি অনেকে আসেন। পুরভবন সংলগ্ন এলাকায় ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু হলেও উপকার হবে তাঁদেরও। পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর কথায়, “আগের পুরবোর্ড ওয়াই ফাই পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করলেও কাজ হয়নি। এ বার শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু হলে অনেকে উপকৃত হবেন।”
ওয়াই ফাই চালুর পরিকল্পনায় খুশি শহরের বাসিন্দারা। শহরের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী সোম দাস বলছিলেন, “পুরসভার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে আরও আগে ওয়াই ফাই চালু হলে ভাল হত।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের আর এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আইআইটি চত্বরের ওয়াই ফাই পরিষেবার সুযোগ পেতে সীমানা পাঁচিলের বাইরে বহু লোক মোবাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর এখন তো কম মূল্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে ওয়াই ফাই চালু হলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ
উপকৃত হবেন।’’