অভিযোগ, উদ্যোগী হয়নি পঞ্চায়েত

জোটেনি বিধবা ভাতা, মৃত্যুর পরে জুটল না ‘বৈতরণী’ও

বৃহস্পতিবার মহিষাদলের কেশবপুরে মেয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় শ্রীমতীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীমতীর বাড়ি নন্দকুমার ব্লকের ব্যবত্তার হাট এলাকায়। কয়েক বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কেশবপুরে একমাত্র মেয়ের গীতারানি ঝাড়ার বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১৩
Share:

এটাই ছিল মৃত শ্রীমতীর মাথাগোঁজার ঠাঁই। নিজস্ব চিত্র

আধার কার্ড ছিল! উত্তর এল নেই। ভোটের কার্ড ! এবার উত্তর, ‘হারিয়ে গিয়েছে’। আধার ও ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকায় যতদিন বেঁচেছিলেন অসহায় ভাবেই দিন কেটেছে শ্রীমতী ভুঁইয়ার (৮৫)। জোটেনি বার্ধক্য বা বিধবা ভাতা। মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ সৎকারেও পাওয়া গেলে না সরকরি সাহায্য। এমনটাই অভিযোগ করলেন মৃতার মেয়ে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মহিষাদলের কেশবপুরে মেয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় শ্রীমতীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীমতীর বাড়ি নন্দকুমার ব্লকের ব্যবত্তার হাট এলাকায়। কয়েক বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কেশবপুরে একমাত্র মেয়ের গীতারানি ঝাড়ার বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। পরিচারিকার কাজ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। মেয়ের সাংসারিক অবস্থাও ভাল না হওয়ায় এ দিন শ্রীমতির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ সৎকারের জন্য প্রতিবেশীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেন। কিন্তু গরিব পরিবারে কারও মৃত্যু হলে তাঁকে দাহ করার জন্য রাজ্য সরকারের চালু করা ‘বৈতরণী’ প্রকল্পের সুযোগ জোটেনি শ্রীমতীর। কারণ, ওই বৃদ্ধার কোনও সরকারি নথি ছিল না বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়।

মেয়ে গীতারানির দাবি, মায়ের ভোটার পরিচয় পত্র থাকলেও তা অনেক দিন আগে তা হারিয়ে যায়। পরে আর বানানো হয়নি। এমনকী আধার কার্ডও ছিল না। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কেউ তাঁর মায়ের ভোটার পরিচয় পত্র ও আধার কার্ড বানানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হননি। স্থানীয় বাড় অমৃতবেড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান মণিমালা প্রামাণিক বলেন, ‘‘ওঁর কাছে কোনও সরকারি পরিচয় পত্র ছিল না। তাই সরকারি ভাবে বিধবা কিংবা বার্ধক্য ভাতা দেওয়া যায়নি। তবে মানবিকতার স্বার্থে আগের বোর্ড থেকে ওঁকে ৩০০ টাকা সাহায্য দেওয়া হত।’’

Advertisement

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপা পন্ডা বলেন, ‘‘মৃত ওই বৃদ্ধার মেয়ের নামে বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন