পুড়ে মৃত্যু মহিলার, উঠল খুনের অভিযোগ

কোলাঘাটের পুলসিটা এলাকায় মৃত মহিলার নাম মায়া চক্রবর্তী (২০)। পুলিশ সূত্রে খবর চার বছর আগে হলদিয়ার সুতাহাটা এলাকার বাসিন্দা মায়া দেবীর  সঙ্গে বিয়ে হয় পুলসিটার পারিট গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:১৩
Share:

দেহ উদ্ধারের পর। নিজস্ব চিত্র

অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্বশুরবাড়িতে এক মহিলার মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ করলেন বাপের বাড়ির লোকজন।

Advertisement

কোলাঘাটের পুলসিটা এলাকায় মৃত মহিলার নাম মায়া চক্রবর্তী (২০)। পুলিশ সূত্রে খবর চার বছর আগে হলদিয়ার সুতাহাটা এলাকার বাসিন্দা মায়া দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় পুলসিটার পারিট গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তীর। দম্পতির একটি দেড় বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। সোনার কাজের কারিগর লক্ষ্মীকান্ত কর্মসূত্রে থাকেন দিল্লিতে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে মায়া অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যা নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। এই নিয়ে দুই পরিবার আলোচনাতেও বসে। দিন পাঁচেক আগে লক্ষ্মীকান্ত বাড়ি আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয় বলে প্রতিবেশীদের দাবি। সেই বিবাদের জেরেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি লক্ষ্মীকান্তের। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে গুরুতর জখম হয়ে লক্ষ্মীকান্তও তমুলক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুনে জখম হয়েছে দেড় বছরের শিশুকন্যাও। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

লক্ষ্মীকান্ত বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় মায়া গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মেয়েকেও সে কাছে টেনে নেয়। আমি দেখতে পেয়ে মেয়েকে কোনওরকমে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিই। ওকেও বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি।’’

Advertisement

মায়ার বাপের বাড়ির তরফে রবিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। মায়াদেবীর বাবা সীতানাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সংসারে প্রায়ই অশান্তি হত। স্বামী আর শাশুড়ি ওর ওপর অত্যাচার করত। বাড়িতে লক্ষ্মীকান্ত যখন থাকত, তখন প্রতিদিনই নেশা করে এসে মেয়ের ওপর অত্যাচার করত। আমার মেয়ে লক্ষ্মীকান্তকে নেশা করতে নিষেধ করত। সে জন্যই ওকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।’’ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শাশুড়ি গায়ত্রী ও স্বামী লক্ষ্মীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন