ফেরালেন চিকিৎসক, প্রসব মেডিক্যালের দরজাতেই

ফের গাফিলতির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রসবে দেরি আছে বলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর হাসপাতালের গেটের সামনেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, এর পরই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে উঠে প়ড়ে লেগেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০৮
Share:

ফের গাফিলতির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রসবে দেরি আছে বলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর হাসপাতালের গেটের সামনেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, এর পরই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে উঠে প়ড়ে লেগেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ঝুমা রাণাকে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি এলাকার বাসিন্দা ঝুমাদেবীকে শুক্রবার সকালে যে চিকিৎসক এসেছিলেন তিনি জানিয়ে দেন এখনও প্রসবের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দিন দশেক পরে ভর্তির পরামর্শ দিয়ে ঝুমাদেবীকে ছুটি দিয়ে দেন তিনি। দুপুরের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন মঙ্গলবাবু। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিধান ব্লকের দরজা দিয়ে বেরোনোর সময়ই ফের যন্ত্রণা শুরু হয়। সেখানেই সন্তান প্রসবও করেন ঝুমাদেবী। খবর পেয়ে ছুটে আসেন চিকিৎসক ও নার্সরা। ফের হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয় তাঁকে। তারপর থেকে অতি গোপনীতায় রাখা হয়েছে মা ও শিশুকে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ঝুমাদেবীর স্বামী মঙ্গল রাণা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালে থাকা অন্য রোগীর আত্মীয়েরাও। সুপার যুগল কর অবশ্য বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তেমন বড় ঘটনা নয়। সঙ্গে সঙ্গেই সদ্যোজাত ও প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনও সমস্যা হয়নি।” দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে ঘটনার পর থেকে ঝুমাদেবী বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা যায়নি অভিযুক্ত চিকিৎসকের নামও।

Advertisement

ওই সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন রোগীর এক আত্মীয় তারক দাস। তাঁর কথায়, “ভাবতেই অবাক লাগছে, মেডিক্যাল কলেজের মতো একটা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে গেল। মাঝরাস্তায় এমনটা হলে কী বিপদ হত!”

বিস্মিত অন্যান্য চিকিৎসকেরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক স্পষ্ট বলেন, “এমন হওয়ার কারণ, উদাসীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন