ফেসবুকে ‘দ্য এন্ড’ লিখে আত্মঘাতী শিক্ষিকা

মহিলার ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, গত ১২ এপ্রিল তিনি স্কুলে যাননি। সারাদিন ফেসবুক করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলদা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০২
Share:

তৃপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক

গত শুক্রবার সন্ধে সাতটা চৌত্রিশ মিনিটে শিক্ষিকা তৃপ্তি চট্টোপাধ্যায় (৩৯) ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘The end’। রবিবার ভোরে বেলদার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তৃপ্তির স্বামী সুমিত চট্টোপাধ্যায় বেলদা ২ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি।

Advertisement

ওই ঘটনায় এ দিন রাত পর্যন্ত বেলদা থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিশ মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেলদা থানার দেউলী মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা তৃপ্তি বছরখানেক আগে বেলদা হিমাংশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখানে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একটি গোলমালের ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তাঁকে ময়নাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দম্পতি নিঃসন্তান। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তৃপ্তি। কী হয়েছিল শনিবার রাতে? সুমিত বলেন, ‘‘রাতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। প্রতিদিনের মতো ঘরে ফিরে শুতে যাই। ভোরে উঠে দেখি এই ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে মাথার একটু সমস্যা ছিল। কখনও রেগে যেত, আবার কাঁদত।’’

মহিলার ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, গত ১২ এপ্রিল তিনি স্কুলে যাননি। সারাদিন ফেসবুক করেছেন। স্বামীর রান্না খেয়ে তারিফ করে পোস্টও করেছেন। পাশাপাশি তাঁর কানের সমস্যার কথা লিখেছে। একাধিক পোস্ট করেছেন শুক্রবার। একটি পোস্টে লেখা, ‘আমাকে শান্তি দেওয়ার কেউ নেই। তবে আমার স্বামীকে আমি ভালোবাসি’।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক সমস্যা জনিত কারণেই সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন তৃপ্তি। তবে নেপথ্যে কোনও কারণ রয়েছে কি না, তদন্তকারীরা তা-ও খতিয়ে দেখছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন