কাজ: কনকাবতীতে। নিজস্ব চিত্র
বছরের সব ক’টা দিনই নারী দিবস। তাই সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার উদ্বোধন হল নারী দিবসেই। কলকাতা বা অন্য মেট্রো শহরে এ এমন নতুন কিছু বিষয় নয়। কিন্তু মেদিনীপুরের গ্রামীণ এলাকায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম। তাই উৎসাহও একটু বেশি।
বুধবার ওই ব্যাঙ্কের শাখাটির উদ্বোধন করেন কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল ধাও়ড়া। উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কের ক্ষীরপাই শাখার সিনিয়র ম্যানেজার বিভা কুজুর। কনকাবতী পঞ্চায়েত অফিসের কাছে ব্যাঙ্কটি এই নতুন শাখা চালু হয়েছে। এ দিন অবশ্য ব্যাঙ্কের চেহারা ছিল একেবারে আলাদা। ফুল, বেলুন দিয়ে সাজানো নতুন ব্যাঙ্কে সকাল সকাল এসে পৌঁছেছিলেন সোনাল নেগি, অমৃতা সাহা, কৃষ্ণ প্রিয়দর্শিনীরা। সারা বছর এঁরাই সামলাবেন যাবতীয় কাজকর্ম, কেউ ম্যানেজার, কেউ সহকারী ম্যানেজার, কেউ আবার শিক্ষানবিশ। এ দিন অবশ্য কেউ ফুল সাজালেন, কেউ প্রদীপে সাবধানে বসিয়ে দিলেন সলতে।
কনকাবতী মহিলা শাখা ম্যানেজার সোনাল বলছিলেন, “আলাদা রকম অনুভূতি। নারী দিবসেই এই শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। এটাও বেশ ভাল লাগছে। সকলে মিলে ভাল ভাবে ব্যাঙ্ক চালানোর সব রকম চেষ্টা করব।” শাখার সহকারি ম্যানেজার অমৃতার কথায়, “আগে অন্য শাখায় কাজ করেছি। এখন মহিলা পরিচালিত এই শাখায় কাজ করছি। বেশ ভাল লাগছে।” এ দিন বেশ কয়েকজন মহিলা গ্রাহকও এসেছেন ব্যাঙ্কে। অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে গিয়েছেন। কী ভাবে সমস্ত কাজ করতে হবে, কোন কোন দিকে বেশি নজর রাখতে হবে— সোনাল, অমৃতাদের তা বুঝিয়ে দেন সিনিয়র ম্যানেজার বিভা কুজুর। জানিয়ে দেন, এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর প্রসারে ব্যাঙ্কেরও একটা ভূমিকা থাকে। বিভাদেবীর আশ্বাস, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে আরও সাবলম্বী করার সব রকম চেষ্টা হবে। সামাজিক কাজকর্ম থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারেও ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসবে।”
এ দিন বিকেলেও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলা পরিচালিত ব্যাঙ্কের কথা শুনতে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। নারী দিবসে ব্যাঙ্কের মহিলা শাখার উদ্বোধন করে খুশি কনকাবতীর পঞ্চায়েত প্রধান পুতুল ধাওড়াও। তিনি বলেন, “একটা ব্যাঙ্কে সব কাজ মহিলার করবেন, এটা শুনেই বেশ ভাল লাগছে।’’