নাবালিকা স্ত্রীকে খুনের নালিশ, গ্রেফতার যুবক

ঘটনাস্থল খড়্গপুর-১ ব্লকের গ্রামীণ থানা এলাকার গোপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরপুর গ্রাম। শনিবার গভীর রাতে ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সোনালি মাইতি (১৬)-র দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫১
Share:

ধৃত অতনু মাইতি। নিজস্ব চিত্র

মাস তিনেক আগে বিয়ে করে নিয়ে আসা এক নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল তার স্বামী। ওই যুবক এর আগেও তিন-তিনটি বিয়ে করেছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কয়েক মাসের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

ঘটনাস্থল খড়্গপুর-১ ব্লকের গ্রামীণ থানা এলাকার গোপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরপুর গ্রাম। শনিবার গভীর রাতে ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সোনালি মাইতি (১৬)-র দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। গ্রামবাসীরা তখন অভিযোগ করেন, সোনালিকে তার স্বামী অতনু মাইতিই খুন করেছে।

যদিও অতনুর দাবি ছিল, সন্ধ্যা থেকে তিনি বাড়িতে ছিল না। রাতে বাড়িতে ফিরে ঘরের সিলিংয়ে ওড়নার ফাঁসে স্ত্রীকে ঝুলতে দেখে। তার পরে নিজেই দেহ নামিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে গ্রামবাসীদের অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে পুলিশ অতনুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সোনালির কোনও অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়ায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তাপসকুমার ঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ হত্যার মামলা রুজু করে অতনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে আরও তিনটি বিয়ে করেছিলেন অতনু। সোনালি ছিল তাঁর চতুর্থ স্ত্রী। গ্রামবাসীরা জানান, আগের স্ত্রীদের সঙ্গেও অশান্তি করতেন অতনু। পরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ছেলের অশান্তির জেরে বছর দু’য়েক ধরে অতনুর বাবা-মাও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন বলে গ্রামবাসীর দাবি। পড়শি বাপ্পা সামন্ত বলেন, “ওই যুবক এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিল। সম্প্রতি এই মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। প্রায়ই অশান্তি হত। কী ভাবে কী হয়েছে বুঝতে পারছি না।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবারও বাড়িতে অশান্তির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল তার পরে গ্রামবাসীরা ওই যুবকের মুখে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত সোনালির বাবা নিখোঁজ। মা আগেই মারা গিয়েছেন। নদিয়া জেলায় তার মামাবাড়ি। পুলিশ সেখানে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাপসকুমার ঘোষ বলেন, “সব মিলিয়ে চারটি বিয়ে করেছে এই যুবক। শেষে এই মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল। আমাদের মনে হচ্ছে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। হয় ও নিজেই খুন করেছে অথবা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন